কলম্বো: আগে বাতিল করা হয়েছিল পরীক্ষা, এবার বন্ধ হল স্কুল। শিক্ষা ব্যবস্থা বলে আর কিছুই থাকছে না শ্রীলঙ্কায়। আর্থিক সঙ্কট, জ্বালানি সঙ্কট নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক পরিষেবা। সম্প্রতিই অফিসে কাজের সময় কমিয়ে দেওয়া ও পরে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার বন্ধ করে দেওয়া হল স্কুলও। শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফে ৪ জুলাই থেকে আগামী এক সপ্তাহের জন্য দেশের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হল।
গত কয়েক মাস ধরেই চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। করোনাকালে পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ায় এবং বিদেশি ঋণের চাপে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে প্রতিবেশী দেশ। ভারতের তরফে একাধিকবার জ্বালানি ও আর্থিক সাহায্য করা হলেও, কিছুতেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। চরম আর্থিক ও জ্বালানি সঙ্কটের কারণে প্রভাবিত হচ্ছে সাধারণ মানুষের জনজীবনও। কর্মীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার পর এবার বন্ধ করা হল স্কুল। আজ, ৪ জুলাই থেকেই এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে শ্রীলঙ্কার সমস্ত সরকারি, বেসরকারি স্কুল। এর আগে গত ১৮ জুনও শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফে এক সপ্তাহের জন্য স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
শ্রীলঙ্কার শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন যে, সিলেবাসে যে খামতি তৈরি হবে,আগামী ছুটির দিনে তা পূরণ হয়ে যাবে। শিক্ষামন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকার কারণেই কলম্বো ও অন্যান্য শহরের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল আগামী এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”