Sri Lanka WFH Rule: করোনা নয়, এই বিশেষ কারণে দেশের সমস্ত কর্মীরাই ২ সপ্তাহের জন্য আসবেন না অফিসে!

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jun 18, 2022 | 7:22 AM

Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় প্রায় ১০ লক্ষের কাছাকাছি সরকারি কর্মী রয়েছেন, এদের মধ্যে যারা অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, বিশেষ করে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে ব্যক্তিরাই একমাত্র কাজে আসবেন। বাকি সমস্ত কর্মীদের বাড়ি থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছে।

Sri Lanka WFH Rule: করোনা নয়, এই বিশেষ কারণে দেশের সমস্ত কর্মীরাই ২ সপ্তাহের জন্য আসবেন না অফিসে!
জ্বালানি ভরার লম্বা লাইন। ছবি:PTI

Follow Us

কলম্বো: ভারতের সাহায্য পেলেও সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারছে না প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসেই জ্বালানির ভান্ডার ফুরিয়ে গিয়েছিল। এরপরই দেশে দেখা দেয় আর্থিক সঙ্কট। বিগত দুই মাসে দফায় দফায় জ্বালানি রফতানি করে সাহায্য করেছে ভারত। কিন্তু সেই জ্বালানিও ফুরোনোর পথে। আর ফের একবার জ্বালানির সঙ্কট সামনে আসতেই বড় সিদ্ধান্ত নিল শ্রীলঙ্কার সরকার। শুক্রবারই সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, আগামী দুই সপ্তাহ সমস্ত অফিসের কর্মীরা যেন বাড়ি থেকেই কাজ করেন। জ্বালানি বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।

বিগত সাত দশকে সবথেকে বড় আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। একদিকে যেমন মজুত জ্বালানি শেষ হয়ে গিয়েছে, তেমনই রাজকোষও সম্পূর্ণ ফাঁকা হয়েছে। বিদেশি মুদ্রা না থাকায় সমুদ্র সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকা জ্বালানি ভর্তি জাহাজ থেকেও পেট্রোল-ডিজেল কিনতে পারেনি। মজুত যেটুকু জ্বালানি রয়েছে, তা দিয়ে সর্বাধিক দুই-তিন দিন চলতে পারে। এই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তেই জ্বালানি বাঁচানোর নয়া পন্থা খুঁজে বের করল শ্রীলঙ্কা সরকার।

শুক্রবারই শ্রীলঙ্কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “জ্বালানি সরবরাহের সীমাবদ্ধতা, দুর্বল পরিবহন ব্যবস্থা ও বেসরকারি গাড়ি ব্য়বহারে সমস্যার কথা মাথায় রেখে কর্মীদের আপাতত বাড়ি থেকেই কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। খুব অল্প সংখ্যক কর্মী, যারা গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ বা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, কেবল তারাই অফিসে আসবেন। বাকিদের আগামী দুই সপ্তাহ বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।”

শ্রীলঙ্কায় প্রায় ১০ লক্ষের কাছাকাছি সরকারি কর্মী রয়েছেন, এদের মধ্যে যারা অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, বিশেষ করে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে ব্যক্তিরাই একমাত্র কাজে আসবেন। বাকি সমস্ত কর্মীদের বাড়ি থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে চলতি সপ্তাহেই সরকারের তরফে সপ্তাহে চারদিন কাজের নিয়ম চালু করা হয়। খাদ্য ও জ্বালানি সঙ্কট মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন অফিসে কর্মরত ব্যক্তিদেরও সপ্তাহে তিন দিন চাষের কাজে হাত লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে চলতি মরশুমে ভাল ফসল উৎপন্ন হয়।

ইতিমধ্যেই ইউরিয়া সার কেনার জন্য ভারত থেকে ক্রেডিট লাইনে কয়েকশো কোটির অর্থ সাহায্য পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে আন্তর্জাতিক মনিটারি ফান্ডের সঙ্গেও কথা চলছে। আগামী সোমবারের মধ্যেই এই চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে।

Next Article