Ranil Wickremesinghe: ‘যার বাড়িই নেই, তাঁকে গো হোম বলে কী হবে?’, বিক্ষোভকারীরাই বাড়ি বানিয়ে দিক, দাবি বিক্রমসিঙ্ঘের

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 01, 2022 | 8:18 AM

Ranil Wickremesinghe: রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে জানান,লাগাতার বিক্ষোভের কারণে দেশে যে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্যই আন্তর্জাতিক মনিটারি ফান্ডের সঙ্গে চুক্তি পিছিয়ে যাচ্ছে।

Ranil Wickremesinghe: যার বাড়িই নেই, তাঁকে গো হোম বলে কী হবে?, বিক্ষোভকারীরাই বাড়ি বানিয়ে দিক, দাবি বিক্রমসিঙ্ঘের
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। ছবি:PTI

Follow Us

কলম্বো: ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি, জনরোষে উত্তপ্ত শ্রীলঙ্কা। বিক্ষোভকারীরা লুঠপাট চালিয়েছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাড়িতে। আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের বাড়ি। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ভয়ে দেশছাড়া হলেও, রবিবার বিক্ষোভকারীদের উপরে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে বলেন, “গো হোম বলার কোনও অর্থ নেই, কারণ আমার কোনও বাড়িই নেই আর।”

রবিবার শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে একটি সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জানান যে, কিছু মানুষ হুমকি দিচ্ছেন যে তিনি যেন বাড়ি ফিরে যান, নাহলে তারা এখানে বিক্ষোভ দেখাবেন। তিনি বলেন, “আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি যে আর বিক্ষোভ শুরু করবেন না। আমার ফেরার মতো কোনও বাড়ি নেই। আমায় বাড়ি যেতে বলা শুধুই সময়ের অপচয়। বরং বিক্ষোভকারীদের উচিত আমার পুড়িয়ে দেওয়া বাড়ি ফের তৈরি করে দেওয়ার।”

তিনি বলেন, “যে ব্যক্তির কোনও বাড়ি নেই, তাঁকে বাড়ি যাও বলার কোনও অর্থ নেই। আমার বাড়ি যদি আবার তৈরি করে দেওয়া হয়, তারপর বিক্ষোভকারীরা আমার বাড়ি ফিরে যাওয়ার দাবি জানাতে পারে। বিক্ষোভকারীদের হয় দেশকে নতুন করে গড়তে হবে নাহলে আমার বাড়ি তৈরি করে দিতে হবে।”

রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে জানান,লাগাতার বিক্ষোভের কারণে দেশে যে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্যই আন্তর্জাতিক মনিটারি ফান্ডের সঙ্গে চুক্তি পিছিয়ে যাচ্ছে। দেশকে আর্থিক সঙ্কট থেকে উদ্ধার করতে এই সাহায্যের অত্যন্ত প্রয়োজন। দেশকে সঙ্কটমুক্ত করতে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একজোট হওয়ার আর্জিও জানান তিনি।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের হয়েও মুখ খোলেন তিনি। তিনি বলেন, “আর্থিক সঙ্কটের জন্য় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে চরম জ্বালানি ও খাদ্যসঙ্কটের মধ্যেও বিক্ষোভকারীরা দেশজুড়ে যে তাণ্ডব চলেছে, তার কারণেই আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি পিছিয়ে গিয়েছে।”

এদিকে, দেশবাসীকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে রেখে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। বর্তমানে তাঁর ঠিকানা সিঙ্গাপুর, কিন্তু সেটাও অস্থায়ী। এই পরিস্থিতিতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, আবার শ্রীলঙ্কাতেই ফিরে আসতে পারেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।  রবিবার এই প্রসঙ্গে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে বলেন, “গোতাবায়ার জন্য এখনই দেশে ফেরা ঠিক হবে না। এখনও দেশে উত্তেজনা রয়েছে, তাই এখন তাঁর ফিরে আসার সঠিক সময় নয়”।

Next Article