ওয়াশিংটন: ২০০২ সালের গুজরাট হিংসা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ঘিরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিতর্কে নিজেদের জড়াতেই চাইনি ব্রিটেন সরকার। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক স্পষ্টই করে দিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) নিয়ে যে ধরনের চরিত্রায়ন করা হয়েছে, তাতে তিনি সহমত নন। এবার প্রতিক্রিয়া এল আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইসের (Ned Price) তরফে। তিনিও কার্যত ভারতের পক্ষেই সওয়াল করলেন। নেড প্রাইস জানান, তিনি এই ধরনের কোনও তথ্যচিত্র সম্বন্ধে অবগত নন। তবে, দুই দেশ যে “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে” সম্পৃক্ত, সেই বিষয়ে আমেরিকা অবগত।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গুজরাট হিংসার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই তথ্যচিত্রে গুজরাট হিংসার কিছু বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয় ওই তথ্যচিত্রে। নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। এই তথ্যচিত্রকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ওয়াশিংটন ও নয়া দিল্লির মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। তার অন্যতম কারণ হল ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-উভয়েই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করে।” এই সাংবাদিক বৈঠকের সময়ই একজন পাক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন বিবিসির এই বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে। প্রাইস সরাসরি বলেন, “আপনি যে তথ্যচিত্রের কথা বলছেন সেই বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে ওয়াশিংটন ও নয়া দিল্লির “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ” সম্পর্কে আমি পরিচিত।” প্রাইস জানান, নয়া দিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের বৈশ্বিক কৌশলগত বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করার জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক।
উল্লেখ্য, বিবিসির এই তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে আগেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জবাব দেওয়া হয়েছিল। এই তথ্যচিত্রকে পক্ষপাতদুষ্ট ও প্রচারমূলক হিসেবে উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “তথ্যচিত্রটি আসলে নির্মাতা সংস্থার মনগড়া। আমরা মনে করি এটা একটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি নির্দিষ্ট নিন্দিত বর্ণনাকে তুলে ধরার জন্য এই ডকুমেন্টারি তৈরি করা হয়েছে। এটি পক্ষপাতদুষ্ট। বস্তুনিষ্ঠ তো নয়ই এবং ঔপনিবেশিক মানসিকতা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। প্রতিক্রিয়া দিয়ে এই ধরনের চলচ্চিত্রকে মর্যাদান্বিত করব না।” এদিকে গত ২১ জানুয়ারিই বিবিসির এই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক শেয়ার করা একাধিক ইউটিউব ভিডিয়ো ও টুইটার পোস্ট ব্লক করার নির্দেশ দেয় নয়া দিল্লি