তাইপেই: একদিন আগেই তাইওয়ান সরকার চিন থেকে আগত বিমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। তার পরদিনই বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর), একটি ‘অজ্ঞাত উৎসের অসামরিক ড্রোন’কে গুলি করে নামাল তাইওয়ানিজ সামরিক বাহিনী। তাদের দাবি, চিনা উপকূলের দিক থেকে ড্রোনটি তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। তাইওয়ানের এক প্রতিরক্ষা কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ড্রোনটি মধ্যাহ্নের ঠিক পরে লায়ন আইলেটের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছিল।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাইওয়ানের এক প্রতিরক্ষা কমান্ডের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তাইওয়ানিজ সামরিক বাহিনী ড্রোনটির প্রতি একাধিক সতর্কতা জারি করেছিল। তারপরও ড্রোনটি না ফিরে যাওয়ায় সেটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ড্রোনটি সমুদ্রে পড়ে যায়। তবে, পরে আর ড্রোনটির অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি। এর আগে, বুধবার (৩১ অগস্ট) প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ঘোষণা করেছিলেন, বেজিং তাইওয়ানের আশপাশের অঞ্চলে সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। চিনা যুদ্ধবিমান বা ড্রোন যদি তাইওয়ানের আকাশে অনুপ্রবেশ করে, তাহলে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ‘পাল্টা ব্যবস্থা’ গ্রহণ করবে।
Taiwan has shot down a civilian drone above the outlying islands of Kinmen, just a few kilometers from the Chinese mainland. pic.twitter.com/qQ7cYdZiOM
— TaiwanPlus (@taiwanplusnews) September 1, 2022
সংবাদ সংস্থা এএফপি-র প্রতিবেদন অনুসারে প্রেসিডেন্ট সাই তাইওয়ানিজ সশস্ত্র বাহিনীকে উত্তেজনা যাতে আর না বাড়ে, তার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ড্রোন অনুপ্রবেশ বা বেজিংয়ের পক্ষ থেকে অন্য কোনও কৌশলে উস্কানি দেওয়া হলে তার জবাব দেওয়া হবে। তাঁর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “তিনি জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে জাতীয় সুরক্ষার জন্য সময়মত প্রয়োজনীয় এবং শক্তিশালী পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীকে নির্ভয়ে এবং দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বাধীনতা দিয়েছেন তিনি।”
Warning shots: Taiwanese soldiers have engaged a Chinese drone that breached the offshore islands of Kinmen. pic.twitter.com/LEAyV46dIB
— TaiwanPlus (@taiwanplusnews) August 31, 2022
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই, ‘শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে তাইওয়ান প্রণালীর আশপাশে সামরিক মহড়া দিচ্ছে চিন। গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে। সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী শুধুমাত্র অগস্ট মাসেই ৪৪০টি চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা অতিক্রম করেছে। পেলোসির সফরের পর থেকে তাইওয়ানে পা পড়েছে আরও বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতার। তাই, সেই সময় থেকে পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি।