Taliban Rule: একটা ফোন, নিমেষে ধূলিসাৎ ১৫ বছরের পরিশ্রম! মহিলাদের জন্য এ কী ফতোয়া জারি করল তালিবান…

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 19, 2022 | 2:12 PM

Taliban Rule: গত বছর আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই একের পর এক দফতর থেকে মহিলা কর্মীদের ছাঁটাই করা শুরু করে তালিবান। কখনও কর্মী ছাঁটাইয়ের অজুহাত, কখনও আবার সরাসরি সরাসরি জানানো হয়েছে যে, বিভাগে পুরুষকর্মীরাই একমাত্র কাজ করতে পারবেন।

Taliban Rule: একটা ফোন, নিমেষে ধূলিসাৎ ১৫ বছরের পরিশ্রম! মহিলাদের জন্য এ কী ফতোয়া জারি করল তালিবান...
ফাইল চিত্র

Follow Us

কাবুল: সময় বদলালেও, তালিবান পড়ে রয়েছে সেই তালিবানি নিয়মেই। গতবছর আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালিবান আফগান মহিলাদের স্বাধীনতা ও অধিকার দেওয়ার কথা বললেও, বাস্তবে ঘটেছে ঠিক উল্টোটাই। একের পর এক ফতোয়া জারি করে মহিলার শিক্ষা থেকে শুরু করে কাজ করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এবার আফগান সরকারি দফতরগুলিতে কাজের চাপ বাড়তেই নতুন এক ফতোয়া জারি করল তালিব সরকার। সরকারি দফতরে কর্মরত মহিলাদের বলা হল, তাদের বদলে যেন পরিবারের পুরুষদের কাজে পাঠানো হয়। তালিবান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কাজের চাপ বাড়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতিই এক আফগান মহিলার কাছে তালিবান আধিকারিকের ফোন আসে। তাঁকে বলা হয়, পরবর্তী দিন থেকে তাঁর জায়গায় যেন বাড়ির কোনও পুরুষকে কাজে পাঠানো হয়। অফিসে কাজের চাপ খুব বেড়ে গিয়েছে, তাই মহিলাদের বদলে পুরুষরাই যাবতীয় কাজ করবেন। ওই আফগান মহিলা বলেন, “আমায় বলা হয় যে আমার বদলে যেন বাড়ির কোনও পুরুষ সদস্যকে মন্ত্রকে পাঠাই, যাতে আমায় কাজ থেকে বরখাস্ত করে তাকে কাজ দেওয়া যায়। এত বছর ধরে আমি যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছি, সেখানে অন্য একজন কী করে কাজ করবে?”

গত বছর আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই একের পর এক দফতর থেকে মহিলা কর্মীদের ছাঁটাই করা শুরু করে তালিবান। কখনও কর্মী ছাঁটাইয়ের অজুহাত, কখনও আবার সরাসরি সরাসরি জানানো হয়েছে যে, বিভাগে পুরুষকর্মীরাই একমাত্র কাজ করতে পারবেন। আফগান যে সমস্ত মহিলারা বর্তমানে কাজ করছেন, তাদের বেতনও কমিয়ে দিয়েছে তালিবান সরকার। অভিযোগকারী ওই মহিলা জানান, আগে তাঁর বেতন ছিল ৬০ হাজার আফগানি, বর্তমানে তা কমিয়ে ১২ হাজার আফগানি করে দেওয়া হয়েছে। এই টাকায় সংসার চালানো তো দূরের কথা, ছেলের স্কুলের ফি-ও দিতে পারছেন না বলেই তিনি জানান। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও ভৎসর্না ও তিরস্কার ছাড়া কোনও জবাবই মেলেনি বলে তিনি জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আফগানি ওই মহিলা আরও জানান, বিগত ১৫ বছর ধরে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে বর্তমানে আফগান মন্ত্রকের একটি বিভাগের প্রধান পদে রয়েছেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতিই আফগান সরকারের মানবসম্পদ বিভাগের তরফে তাঁকে ফোন করে বলা হয় যে, তাঁর বদলে ওই পদে পরিবারের কোনও পুরুষ সদস্যের নাম মনোনীত করতে পারেন তিনি।

Next Article