কাবুল: আর সন্ত্রাসবাদ নয়, এবার শান্তি চাইছে আফগানিস্তান (Afghanistan)। সেই লক্ষ্যেই বড় ঘোষণা করল তালিবান সরকার। বুধবার তালিবান সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, অন্য কোনও দেশে হামলা চালানো জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। তালিবান প্রধান মোল্লা হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা ঈদের আগে এই ঘোষণা করেন।
২০২১ সালের ১৫ অগস্ট। ভারত যখন স্বাধীনতা দিবস পালনে ব্যস্ত, সেই সময়ই কাবুল দখল করে গোটা আফগানিস্তানের উপরে তালিবান রাজত্বের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ৯০-র দশকের পর ফের একবার আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল গোটা বিশ্ব। মনে করা হচ্ছিল, ফের একবার আফগানিস্তান সন্ত্রাসবাদের আখাড়া হয়ে উঠবে। তবে সেই সময়ও তালিবান সরকার আশ্বস্ত করেছিল যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারাও পরিবর্তিত হয়েছে। এবার তারা অন্যভাবে দেশকে শাসন করবে।
বুধবার তালিবান প্রধান মোল্লা হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা পবিত্র ঈদ উপলক্ষে তালিব বাহিনীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশ ও গোটা বিশ্বকে আশ্বস্ত করে বলছি যে আমাদের দেশের মাটি সন্ত্রাসবাদের জন্য ব্যবহার করতে দেব না কাউকে। অন্য দেশের নিরাপত্তা সঙ্কট তৈরি হোক, এমন পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে দেব না আমরা। পাশাপাশি অন্য দেশও আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যাতে হস্তক্ষেপ না করে, তার আর্জি জানাচ্ছি”। এর আগে তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিদুল্লা মুজাহিদও বলেছিলেন, ‘‘আফগানিস্তানের মাটিকে আর অন্য কোনও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।”
পবিত্র ইদ-উল-আজাহার আগে তালিবান প্রধান আখুন্দজাদার এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতের জন্যও এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর আগে পাক জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রকাশ্যেই সমর্থন জানিয়েছিল তালিবান। ১৯৯৯ সালে কান্দাহারে বিমান হাইজ্যাক কাণ্ডেও সক্রিয়ভাবে তালিবান জড়িত ছিল। গতবছর আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের সময়ও লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠী সহায়তা করেছিল। সেই কারণেই তালিবানের ক্ষমতা দখলের পরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীরে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছিল।