‘পরের বার আর একচুলও ভুল হবে না’, মালালাকে হাড়হিম হুমকি

সুমন মহাপাত্র |

Feb 18, 2021 | 4:02 PM

কীভাবে এই জঙ্গি নেতা জেল থেকে ছাড়া পেল! পাল্টা টুইটে পাক প্রধানমন্ত্রীর দিকে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিয়েছেন মালালা।

Follow Us

ইসলামাবাদ: আবারও খুনের হুমকি মালালাকে ইউসুফজাইকে। এর আগে ২০১২ সালে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন মালালা। তালিবান জঙ্গিদের হামলার পর পাকিস্তান ছেড়ে ব্রিটেনে থাকেন তিনি। কিন্তু নিজের দেশ ছেড়ে গেলেও হুমকি পিছু ছাড়ল না তাঁর। একাধিক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত তালিবান জঙ্গি এহসানউল্লা এহসান টুইটে মালালার উদ্দেশে লিখেছে, “আমাদের পুরনো হিসেব এখনও বাকি আছে। সেগুলো মিটমাট করতে তোমার ঘরে ফেরা উচিত। এ বার আর কোনও ভুল হবে না।”

টুইটের পাল্টা দিয়ে ইমরান প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন নোবেলজয়ী মালালা। কীভাবে এই জঙ্গি নেতা জেল থেকে ছাড়া পেল! পাল্টা টুইটে পাক প্রধানমন্ত্রীর দিকে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিয়েছেন মালালা। তিনি লিখেছেন, “পাকিস্তানে তালিবান গোষ্ঠীর প্রাক্তন মুখপাত্র এহসানউল্লাহ এহসান কী করে সাধারণ মানুষকে হুমকি দিতে পারছে।” ২০১২ সালে স্কুল থেকে ফেরার পথে বাসে ঢুকে মালালাকে গুলি করার ঘটনার মূল চক্রী ছিল এহসানউল্লাহ এহসান। মালালার বক্তব্য অনুযায়ী, নারী শিক্ষা ও নারীদের অধিকার নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার জন্যই টার্গেট হতে হয়েছিল তাঁকে।

কী হয়েছিল সে দিন?

২০১২ সালের ৯ অক্টোবর স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মালালা। তখন, স্কুল বাসে ঢুকে এক বন্দুকধারী প্রশ্ন করে, “মালালা কে?” তারপরই গুলি করে মালালাকে। গুলিটি মালালার কপাল দিয়ে ঢুকে মুখের মধ্যে দিয়ে কাঁধে গিয়ে আটকায়। এরপর ১০ দিন অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন মালালা। পরবর্তীকালে তাঁকে পাকিস্তান থেকে বার্মিংহ্যাম নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানেই ঘুম ভাঙে তাঁর।

কে এই এহসানউল্লা এহসান?

২০১২ সালে মালালাকে গুলি করা ছাড়াও একাধিক জঙ্গি কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত এহসানউল্লাহ এহসান। ২০১৪ সালে পাকিস্তানের একটি সেনা হাসপাতালে ঢুকে ১৩৪ জন পড়ুয়াকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। সেই হত্যাকাণ্ডেও অভিযুক্ত ছিল এহসান। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছিল, একটি সেফ হাউসে হেফাজতে রয়েছে সে। কিন্তু তারপর সেখান থেকে কীভাবে পালিয়ে গেল, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি পাক গোয়েন্দা দফতর।

ইসলামাবাদ: আবারও খুনের হুমকি মালালাকে ইউসুফজাইকে। এর আগে ২০১২ সালে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন মালালা। তালিবান জঙ্গিদের হামলার পর পাকিস্তান ছেড়ে ব্রিটেনে থাকেন তিনি। কিন্তু নিজের দেশ ছেড়ে গেলেও হুমকি পিছু ছাড়ল না তাঁর। একাধিক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত তালিবান জঙ্গি এহসানউল্লা এহসান টুইটে মালালার উদ্দেশে লিখেছে, “আমাদের পুরনো হিসেব এখনও বাকি আছে। সেগুলো মিটমাট করতে তোমার ঘরে ফেরা উচিত। এ বার আর কোনও ভুল হবে না।”

টুইটের পাল্টা দিয়ে ইমরান প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন নোবেলজয়ী মালালা। কীভাবে এই জঙ্গি নেতা জেল থেকে ছাড়া পেল! পাল্টা টুইটে পাক প্রধানমন্ত্রীর দিকে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিয়েছেন মালালা। তিনি লিখেছেন, “পাকিস্তানে তালিবান গোষ্ঠীর প্রাক্তন মুখপাত্র এহসানউল্লাহ এহসান কী করে সাধারণ মানুষকে হুমকি দিতে পারছে।” ২০১২ সালে স্কুল থেকে ফেরার পথে বাসে ঢুকে মালালাকে গুলি করার ঘটনার মূল চক্রী ছিল এহসানউল্লাহ এহসান। মালালার বক্তব্য অনুযায়ী, নারী শিক্ষা ও নারীদের অধিকার নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার জন্যই টার্গেট হতে হয়েছিল তাঁকে।

কী হয়েছিল সে দিন?

২০১২ সালের ৯ অক্টোবর স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মালালা। তখন, স্কুল বাসে ঢুকে এক বন্দুকধারী প্রশ্ন করে, “মালালা কে?” তারপরই গুলি করে মালালাকে। গুলিটি মালালার কপাল দিয়ে ঢুকে মুখের মধ্যে দিয়ে কাঁধে গিয়ে আটকায়। এরপর ১০ দিন অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন মালালা। পরবর্তীকালে তাঁকে পাকিস্তান থেকে বার্মিংহ্যাম নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানেই ঘুম ভাঙে তাঁর।

কে এই এহসানউল্লা এহসান?

২০১২ সালে মালালাকে গুলি করা ছাড়াও একাধিক জঙ্গি কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত এহসানউল্লাহ এহসান। ২০১৪ সালে পাকিস্তানের একটি সেনা হাসপাতালে ঢুকে ১৩৪ জন পড়ুয়াকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। সেই হত্যাকাণ্ডেও অভিযুক্ত ছিল এহসান। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছিল, একটি সেফ হাউসে হেফাজতে রয়েছে সে। কিন্তু তারপর সেখান থেকে কীভাবে পালিয়ে গেল, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি পাক গোয়েন্দা দফতর।

Next Article