ইসলামাবাদ: ইমরান খানের গ্রেফতারির (Imran Khan Arrested) পর পরই গোটা পাকিস্তান (Pakistan) জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি, পুলিশকে উদ্দেশ্য করে পাথর ছোড়া, পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হিংসাত্মক রূপ নিতে শুরু করেছে প্রতিবাদ। মঙ্গলবার ইমরানের গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাকিস্তানের বাকি সব বড় শহরগুলির মতো লাহোরেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ইমরানের সমর্থকরা লাহোরে পাক সেনা কমান্ডারদের বাসভবন চত্বরে ঢুকে পড়ে। সে দেশের সংবাদমাধ্যমের বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনা হেডকোয়ার্টারেও ঢুকে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন একাংশের মানুষ।
ইমরানের গ্রেফতারির পর জ্বলছে গোটা পাকিস্তান। পেশোয়ারে রেডিয়ো পাকিস্তানের বিল্ডিংয়ের আগুন লাগিয়ে দিয়েছে একজন বিক্ষুব্ধ জনতা। এদিন দুপুরে একটি মামলার শুনানির জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরা দিতে যাচ্ছিলেন ইমরান। সেই সময়ে আদালত চত্বর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পাক রেঞ্জাররা। তাঁর গ্রেফতারির পর থেকেই পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেন তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থকরা। বিক্ষোভ, প্রতিবাদের সুর ক্রমেই চড়তে থাকে। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বড় মাপের কোনও জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা নিয়ম ভাঙবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইসলামাবাদ পুলিশ।
জিও নিউজ়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, করাচি, গুজরানওয়ালা, ফয়জলাবাদ, মুলতান, পেশোয়ার এবং মারদান এলাকায় বিক্ষোভ চলছে ইমরান খানের সমর্থকদের। রাওয়ালপিন্ডিতে ইমরান খানের সমর্থকরা পাক সেনার হেডকোর্য়াটারের মূল গেট পেরিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন এবং সরকারবিরোধী স্লোগান তুলতে থাকেন। যদিও পাক সেনা সেখানে পরিস্থিতি সামলে আনে।
লাহোরেও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থকদের একটি বিশাল দল পাক সেনার কর্পস কমান্ডারদের বাসভবন চত্বরে ঢুকে পড়ে এবং ভাঙচুর চালায়। করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতিও তৈরি হয়। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।