নয়া দিল্লি ও কলকাতা: সমুদ্র পেরিয়ে স্থলভাগে আগেই ঢুকেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ (Cyclone Mokha)। কিন্তু এখনও তার তাণ্ডব থামেনি। এবার বাংলাদেশ (Bangladesh) পেরিয়ে মায়ানমার (Myanmar) উপকূল থেকে ২১০ কিলোমিটার ভিতরে পৌঁছে গিয়েছে মোখা। ইতিমধ্যে বহু ঘর-বাড়ি ভেঙেছে। রবিবার রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘মোখা’-র তাণ্ডবে কক্সবাজারে মৃত্যুর কোনও খবর না থাকলেও মায়ানমারে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধীরে-ধীরে শক্তি কমলেও সারা রাত ধরেই মোখা-র তাণ্ডব চলবে এবং সোমবারও তার রেশ থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অন্যদিকে, মোখা যত শক্তি ক্ষয় করবে, বাংলায় তাপমাত্রার পারদ ততই বাড়বে, সোমবার থেকেই কলকাতা (Kolkata) সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে (Bengal) গরম বাড়বে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। মঙ্গলবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ (Heat Wave)বইবে বলেও সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, সমুদ্র থেকে স্থলভাগে প্রবেশের পর ‘মোখা’ তাণ্ডব চালালেও ধীরে-ধীরে শক্তি কমবে। আরও কয়েক ঘণ্টা পরে এটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তবে সোমবার সকালেও এর রেশ থাকবে। মায়ানমারের উপর নিম্নচাপ হিসাবে অবস্থান করবে মোখা। ফলে আগামী কাল পুরোপুরি রেহাই পাচ্ছে না মায়ানমার। ঝোড়ো হাওয়া বইবে এবং তীব্রতা কমলেও বৃষ্টি চলবে। অন্যদিকে, ‘মোখা’-র জেরেই সোমবার থেকে কলকাতা সহ সমগ্র বাংলার তাপমাত্রার পারদ বাড়বে। মঙ্গলবার দুই বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় তাপপ্রবাহ চলতে পারে।
এদিকে, মোখা-র তাণ্ডবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তৈরি বাঁশ-ত্রিপলের ঘরগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে আশার খবর, ওই ক্যাম্পগুলিতে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু, মায়ানমারে ৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।