নয়াদিল্লি: ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় শোকাহত গোটা বিশ্ব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সমবেদনা জানিয়েছে ভারতকে। অতীতেও ভারতে এ রকম বিধ্বংসী ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছিল শতাধিক মানুষের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এ রকম ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে যেমন যান্ত্রিক গোলযোগ এবং গাফিলতির জেরে দুর্ঘটনা রয়েছে। তেমনই রয়েছে নাশকতার জেরে দুর্ঘটনা। সে রকমই নাশকতার জেরে কিছু দুর্ঘটনার স্মৃতি তুলে ধরা হল।
২০০১ সালে ট্রেনে ভয়াবহ আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলায়। সে সময় অ্যাঙ্গোলায় গৃহযুদ্ধ চলছিল। বিদ্রোহীরা মাইন দিয়ে একটি ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটায়। তার পর গুলিও চালানো হয়েছিল যাত্রীদের উপর। সেই ঘটনায় ২৫০-র বেশি লোকের মৃত্যু হয় এবং ৫০০-র বেশি আহত হন।
১৯৩৯ সালের ১২ অগস্ট ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো শহরে। সেই দুর্ঘটনায় ২৪ জনের মৃত্যু এবং ১২১ জন আহত হন। নাশকতার জেরেই সেই ট্রেন দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ উঠেছিল। আমেরিকার পুলিশ পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল নাশকতায় যুক্তদের খবর দেওয়ার জন্য।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে একটি ট্রেনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর জেরে লাইনচ্যুত হয় জাফর এক্সপ্রেস। যদিও প্রাণহানির ঘটনা তেমন ঘটেনি এই হামলায়।
২০১৭ সালে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরের সবওয়েতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ইসলামিক এক সংগঠন এই হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ।
২০১৬ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে জঙ্গিরা হামলা চালায় ট্রেনে। আত্মঘাতী জঙ্গিদের বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী। সেই ঘটনায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৩০০-র বেশি।
২০১০ সালে রাশিয়ার মস্কোয় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ১০০ জনের বেশি।
২০০৪ সালে স্পেনের মাদ্রিদ শহরে ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ধারাবাহিক সেই বিস্ফোরণে ১৯৩ জন প্রাণ হারান। ২ হাজারেরও বেশি যাত্রী আহত হয়েছিলেন।