AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Texas school shooting: গায়ে মেখে নিয়েছিল মৃত বন্ধুর রক্ত, কিশোরী মেয়েটি শুয়েছিল মৃতের ভান করে

Texas school shooting: টেক্সাসের রব এলিমেন্টারি স্কুলে গুলিবিদ্ধ বন্ধুর দেহ থেকে নিজের গায়ে রক্ত মেখে বন্দুকবাজকে ধোকা দিয়েছিল এক ১১ বছরের কিশোরী।

Texas school shooting: গায়ে মেখে নিয়েছিল মৃত বন্ধুর রক্ত, কিশোরী মেয়েটি শুয়েছিল মৃতের ভান করে
ঘটনার মানসিক অভিঘাত থেকে বের হতে পারছে না ১১ বছরের কিশোরীটি
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 4:21 PM
Share

ওয়াশিংটন: চারপাশে তখন ছুটছে গুলি। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ছে তার একের পর এক বন্ধু। এই অবস্থায় বন্দুকবাজের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে এক অদ্ভুত উপায় বেছে নিয়েছিল ১১ বছরের কিশোরী মিয়া সেরিলো। গুলিবিদ্ধ বন্ধুর দেহ থেকে রক্ত নিয়ে নিজের গায়ে লাগিয়ে নিয়েছিল চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীটি। তারপর, বন্দুকবাজের হামলার দুঃস্বপ্ন না কাটা পর্যন্ত, মৃতের ভান করে শুয়ে ছিল সে। এভাবেই, নিজেকে রক্ষা করেছিল এই কিশোকী। গত মঙ্গলবার, টেক্সাসের রব এলিমেন্টারি স্কুলে ১৮ বছর বয়সী বন্দুকবাজ সালভাদোর রামোসের এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ১৯ শিশু-সহ ২১ জনের। শিশুদের প্রত্যেকেই ছিল চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রী, মিয়া সেরিলোরই সহপাঠী।

সংবাদমাধ্যমের কাছে মিয়া সেরিলোর এই দুর্দান্ত উপস্থিত বুদ্ধির কাহিনি প্রকাশ করেছেন তাঁর পিসি ব্লাঙ্কা রিভেরা। তিনি বলেছেন, বন্ধুকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেও ঘাবড়ায়নি মিয়া। তার গায়ে আগেই রক্ত লেগেছিল, পরে নিজেকে বাঁচাতে সে বন্ধুর দেহ থেকে আরও রক্ত নিয়ে নিজের গায়ে লাগিয়েছিল। মৃতে ভান করে শুয়ে থাকার আগে অবশ্য সে তার এক শিক্ষিকার ফোন হাতে পেয়ে গিয়েছিল। সেই ফোন ব্যবহার করেই সে মার্কিন জরুরি নম্বর ৯১১-এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল।

উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজ লাগিয়ে বন্দুকবাজকে ধোকা দিলেও একেবারে অক্ষত অবস্থায় নেই মিয়া সোরিলো। এনবিসি-র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১১ বছরের কিশোরীটির পিঠে বুলেটের টুকরো ঢুকে গিয়েছিল। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আপাতত তার শারীরিক অবস্থা স্থীতশীল। তবে, মিয়ার বাবা-মা জানিয়েছে, ঘটনার আতঙ্ক থেকে সে কিছুতেই বের হতে পারছে না। গুলি চলার সময় যে দৃশ্য তাকে দেখতে হয়েছে, সেই ছবি এখনও শিশুমনে দগদগে হয়ে আছে। তার পিসি জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছিল মিয়া।

তবে, এই ঘটনায় টেক্সাস পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে। ১৮ বছরের বন্দুকবাজ সালভাদোর ব়্যামোসকে নিরস্ত্র করতে কেন এক ঘন্টা সময় লাগল, এই প্রশ্ন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়োগুলিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ঘটনার সময় স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশকর্মীরা। তাদের ভিতরে যাওয়ার জন্য আর্জি জানাচ্ছেন তাদের বাবা-মায়েরা। কিন্তু, তারও বেশ কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ভিতরে ঢুকেছিল। তারা ব্যাকআপের জন্য অপেক্ষা করছিল বলে জানা গিয়েছে। তারা আরেকটু আগে ভিতরে গেলে ক্ষতি অনেক কম হতে পারত বলে মনে করছেন হতভাগ্য অভিবাবকরা।