AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

social media minimum age limit: ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে না ফেসবুক-ইনস্টা, নজিরবিহীন পথে হাঁটতে চলেছে এই সরকার

social media minimum age limit: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকের মতো সোশ্যাল সাইটে প্রবেশের জন্য বয়সের কোনও বিধিনিষেধ নেই। ফলে অনেক কম বয়স থেকে ছেলেমেয়েরা এইসব সোশ্যাল সাইটে আনাগোনা করছে। ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হচ্ছে।

social media minimum age limit: ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে না ফেসবুক-ইনস্টা, নজিরবিহীন পথে হাঁটতে চলেছে এই সরকার
প্রতীকী ছবি, ফোটো সৌজন্য-Meta AI
| Updated on: Sep 11, 2024 | 5:22 PM
Share

নয়াদিল্লি: খেলার মাঠে যাওয়ার তাড়া নেই। বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধূলায় উৎসাহী নয়। বাড়িতে মোবাইল দেখতে ব্যস্ত কেউ। কেউ বা মজে রিলে। বর্তমান সময়ে এই ছবি যেন সর্বত্র। বাবা-মা হাজারবার বলেও সন্তানকে খেলার মাঠে পাঠাতে পারছেন না। ১২-১৩ বছর বয়সেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সড়গড় সন্তানরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনের অনেকটা সময় কাটাচ্ছে তারা। এবার এই নিয়ে লাগাম টানতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। শিশুদের খেলার মাঠমুখী করতে সোশ্যাল সাইটে প্রবেশ করার জন্য ন্যূনতম বয়স বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশের জন্য ন্যূনতম ১৪-১৬ বছর বয়স বেঁধে দিতে চাইছে সেদেশের সরকার।

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকের মতো সোশ্যাল সাইটে প্রবেশের জন্য বয়সের কোনও বিধিনিষেধ নেই। ফলে অনেক কম বয়স থেকে ছেলেমেয়েরা এইসব সোশ্যাল সাইটে আনাগোনা করছে। ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হচ্ছে। শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়ায় থেকে দূরে রাখতে আইন আনতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। চলতি বছরেই এই সংক্রান্ত আইন আনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ় জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় লগ ইন করার জন্য ন্যূনতম বয়স নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে তা ১৪-১৬ বছর হতে পারে বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান। অ্যান্থনি আলবানিজ় ব্যক্তিগতভাবে চান, ১৬ বছরের কম বয়সী কেউ যেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার না করে। তিনি বলেন, “আমি চাই এইসব ডিভাইস ছেড়ে শিশুরা খেলার মাঠে ভিড় করুক। তারা সুইমিং পুলে যাক। টেনিস কোর্টে সময় কাটাক।” অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “আমরা চাই প্রকৃত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করুক শিশুরা। কারণ আমরা জানি, সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক ক্ষতি করে।” অনেক শিশুই মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় পড়ে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তবে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও তা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে যে প্রযুক্তি রয়েছে, সেখানে বয়স যাচাইয়ের প্রক্রিয়া খুব একটা কার্যকরী নয়। অনেকে আবার বলছেন, বর্তমান সময়ে যুব সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ সোশ্যাল মিডিয়া। যুব সমাজের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার চেয়েও দায়িত্বজ্ঞানহীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির লাগাম টানা দরকার।