Adani writes to Bangladesh government: হাজার হাজার কোটি টাকা বাকি রেখেছে বাংলাদেশ সরকার, ইউনুসকে চিঠি লিখলেন আদানি
Adani writes to Bangladesh government: আদানি পাওয়ারের বিদ্যুতের বিল মেটায় বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড। কিন্তু, পদ্মাপারের দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বকেয়া বিলের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। এই বিল যাতে আর না বাড়ে, সেজন্য ইউনুসকে আবেদন করেছেন আদানি।
নয়াদিল্লি ও ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে চিঠি লিখলেন আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। বাংলাদেশে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছ থেকে তাঁর সংস্থা ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পায়। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। বকেয়া সেই বিদ্যুৎ বিল দ্রুত মেটাতে ইউনুসকে আবেদন জানালেন আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান। এত টাকার বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকায় তাঁর সংস্থাকে আর্থিক চাপে পড়তে হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন আদানি।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি পাওয়ার। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তারা। ২০২৩ সালের জুনে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র কাজ শুরু করে। বিপিডিবি-র সঙ্গে ২৫ বছর বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি করেছে আদানি পাওয়ার। এই বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রতি মাসে ৯০-৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা আদানি পাওয়ারের। সেখানে তারা মাসে ৪০-৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচ্ছে। এরই জেরে গত আট-নয় মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা বাকি পড়েছে।
আদানি পাওয়ারের বিদ্যুতের বিল মেটায় বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড। কিন্তু, পদ্মাপারের দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বকেয়া বিলের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। এই বিল যাতে আর না বাড়ে, সেজন্য ইউনুসকে আবেদন করেছেন আদানি। গত ২৭ অগস্ট তিনি চিঠিটি লিখেছেন। চিঠিতে আদানি লেখেন, “বিদ্যুৎ সরবরাহে আমরা আমাদের দায়বদ্ধতা পালন করে চলেছি।” বাংলাদেশের বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতেই ঝাড়খণ্ডে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। আদানি পাওয়ারের তরফে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়লেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে না। চিঠিতে আদানি আশা প্রকাশ করেন, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল মেটাতে পদক্ষেপ করবে বাংলাদেশ প্রশাসন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে জুলাইয়ের প্রথম থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। দেশে আর্থিক চ্যালেঞ্জের জন্য হাসিনা সরকারকে দায়ী করেছে তারা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মহম্মদ এফ কবীর খান বলেন, সবমিলিয়ে ৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদ্যুৎ বিল বাকি। এর মধ্যে আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ বিলও রয়েছে।