নয়া দিল্লি: বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ ভারত। আর ভারতের প্রভাব-প্রতিপত্তি ছড়িয়ে রয়েছে গোটা বিশ্বে। প্রবাসী ভারতীয়রা আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিশ্ব মানচিত্রে ভারতীয় প্রবাসীরা এক নতুন ইতিহাস লিখছেন। আমেরিকা হোক বা ব্রিটেন… সর্বত্রই আপনি দেখা পেয়ে যাবেন প্রবাসী ভারতীয়দের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কংগ্রেসিয়নাল রিপোর্ট বলছে, অন্য দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় নতুন নাগরিকত্ব পাওয়ার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ২০২২ সালে প্রায় ৬৬ হাজার ভারতীয় সরকারিভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
এ তো গেল শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা। এরপর ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি… পাশ্চাত্য দেশগুলির যেটার কথা বলবেন, সেখানেই আপনি প্রবাসী ভারতীয়র দেখা পেয়ে যাবেন। তবে আশ্চর্যের বিষয়, বিশ্বে এমন কিছু দেশও রয়েছে, যেখানে আপনি কোনও প্রবাসী ভারতীয়র দেখা পাবেন না। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন দেশগুলিতে প্রবাসী ভারতীয়দের বাস একেবারেই নেই।
ভ্য়াটিক্যান সিটি: নামে শহর। আকার-আয়তনেও শহরের মতোই। কিন্তু আসলে এটা একটা দেশ। বিশ্বের সবথেকে ছোট দেশ ভ্যাটিক্যান সিটি। যেখানে পোপ থাকেন। এখানে বসবাসকারী মানুষরা রোমান ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বন করেন। এই দেশে কোনও প্রবাসী ভারতীয়র স্থায়ী বসবাস নেই।
স্য়ান ম্য়ারিনো: স্যান ম্যারিনো হল ইউরোপের একটি দেশ। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্রগুলির মধ্যে একটি স্যান ম্যারিনো। সবথেকে প্রাচীন প্রজাতান্ত্রিক দেশের মধ্যেও একটি এই ছোট্ট পাহাড়ি দেশ। মাত্র ৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তন জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই দেশে রয়েছে অভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। এখানে পর্যটক হিসেবে ভারতীয়দের দেখা পেলেও, কোনও ভারতীয়র স্থায়ী বাস নেই এই দেশে।
টুভালু: টুভালু হল একটি ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে এই ছোট্ট দেশে মোট সড়ক পথ মাত্র ৮ কিলোমিটারের। এই দ্বীপরাষ্ট্রেও কোনও ভারতীয় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেননি।
বুলগেরিয়া: দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে মূলত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষজনের বাস। এখানেও আপনি কোনও প্রবাসী ভারতীয়র দেখা পাবেন না।
পাকিস্তান: ভারতের একেবারে পাশেই পাকিস্তান। প্রতিবেশী দেশ হলেও, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মঞ্চে বার বার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভারত। পাকিস্তানেও কোনও ভারতীয়র পাকাপাকি বাস নেই।