সিডনি: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল অস্ট্রেলিয়ার একাংশ। আর সেই ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে সুনামির আশঙ্কার কথা জানাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দফতর।
স্থানীয় সময় বুধবার মধ্যরাতে এই কম্পন অনুভূত হয় দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে। আর তার জেরেই সুনামির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। লর্ড হোয়ে দ্বীপে আছড়ে পড়তে পারে সেই সুনামি। অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই দ্বীপ।
আরও পড়ুন: শোভনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন কুণাল-দেবশ্রী, সাক্ষী হবেন রত্না
নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির তরফ থেকে স্থানীয় মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। জলের কাছে যাতে কেউ না যান, সেই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোনও সমুদ্র সৈকত বা বন্দর এলাকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আহিপারা, গ্রেট ব্যারিয়ার আইল্যান্ড, মাতাতা সহ একাধিক জায়গায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ওই ভূমিকম্পের জেরে নিউজিল্যান্ড, ভানুয়াতু, নিউ ক্যালিফোর্নিয়া-সহ একাধিক জায়গায় সুনামির আশঙ্কা আছে।
স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১ টা ২০ মিনিটে ওই ভূমিকম্প হয়। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উৎসস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এনডব্লুএস পেসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে সুনামি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফিজি, নিউজিল্যান্ড, ভানুয়াতুর উপকূলে এক মিটার পর্যন্ত লম্বা ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। অস্ট্রেলিয়া ও কুক আইল্যান্ডে অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলকে বলা হয় ‘রিং অফ ফায়ার’। ওই অঞ্চলে টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষে বারবার ভূমিকম্প বা অগ্ন্যুৎপাতের মত ঘটনা ঘটেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।