TV 9 বাংলা ডিজিটাল: গত সপ্তাহেই ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পড়েছিল তুরস্ক (Turkey) ও গ্রিস (Greece)। ঘটনার ৩ দিন পরে সোমবারও বিধ্বস্ত ইজমিরে চলল উদ্ধারের কাজ। গত শুক্রবারের ভূমিকম্পে আহত হয়েছিলেন ৯৬২ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৮১ জন।
গ্রিস ও তুরস্ক দুই দেশই ভূমিকম্প বলয়ের অন্তর্গত। ইস্তানবুলের কান্দিলি ইনস্টিটিউট জানিয়েছে শুক্রবার রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। উৎস ছিল গ্রিক শহর কার্লোভাসি থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে সামোসে দ্বীপে। তীব্র কম্পনে তছনছ হয়ে যায় ইজমির। ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি। ভূমিকম্পের পর কম শক্তিশালী সুনামি আছড়ে পড়ে সামোসের এজিয়ান দ্বীপে। যার জেরে তুরস্কের পশ্চিম উপকূলের প্রত্যেকটি নদীতে বৃদ্ধি পায় জলস্তর। জল ঢুকে আসে রাস্তায়।
May Allah help Turkey #PrayForTurkey pic.twitter.com/WRvQwPuU6V
— Official_HMPI (@Official_HMPI) October 31, 2020
ইজমিরের মেয়র জানিয়েছিলেন মোট ২০ টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বিধ্বস্ত ইজমিরের ছবি প্রকাশ্যে আসার পর আঁতকে উঠেছিলেন নেটিজেনরা। চারিদিকে শুধু সাদা ধোঁয়া। ভূমিকম্পের জেরে বাড়ি হারা হয়েছেন অনেকেই। তাদের জন্য ৩ হাজার ৫০০ অস্থায়ী তাঁবু ও ১৩ হাজার বিছানা যুক্ত অস্থায়ী আশ্রয় তৈরি করেছেন তুরস্কের দুর্যোগ ও আপদকালীন কর্তৃপক্ষ।
আহতদের মধ্যে ৭৪০ জন ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। তুরস্কে মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৭৯ জন। পড়শি দেশ গ্রিসে ভূমিকম্পের সময় স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রাণ হারায় ২ স্কুল পড়ুয়া। ভূমিকম্পের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ২ দেশের পাশে থাকার কথা জানান। তুরস্ক সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। সে বছর ভূমিকম্পের জেরে তুরস্কে প্রাণ হারিয়ে ছিলেন ১৭ হাজার মানুষ। ইস্তানবুলে প্রাণ হারিয়ে ছিলেন ১ হাজার মানুষ। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৪।