মোগাদিসু: পরপর গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের (Car bomb Blast) ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা। সোমালিয়ার (Somalia) রাজধানী শহর মোগাদিসুতে সেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের। আহত প্রায় তিন শতাধিক। রবিবার সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মহম্মদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর জানিয়েছেন মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০০। এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার না করলেও প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসলামিক সংগঠন আল শাবাব এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সাধারণত ওই সংগঠনের হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রচুর, আর এরা কোনও দায় স্বীকার করে না।
প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মহম্মদ জানিয়েছেন, ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। কোলে সন্তান নিয়ে কোনও মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন অসুস্থ, কেউ শিক্ষার্থী, কেউ ব্যবসায়ী।
প্রথমবার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় সে দেশের শিক্ষা মন্ত্রকের কাছেই। মোগাদিসুর অত্যন্ত ব্যস্ত একটি জায়গায় প্রথম গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর ঠিক পরেই যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অ্যাম্বুল্যান, বহু মানুষ আহতদের সাহায্য করতে এগিয়ে যায়, সেই সময়েই আরও একটা বিস্ফোরণ ঘটে। কার্যত রক্তের বন্যা বয়ে যায় ওই এলাকায়। প্রবল বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের বাড়ির জানালা ভেঙে যায়। এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।
অন্যদিকে ঘটনাস্থলের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। মানুষজন ছোটাছুটি শুরু করেছেন আতঙ্কে।
২০১৭-তে সোমালিয়ার যে জায়গায় বিস্ফোরণের অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, সেই জায়গাতেই এই পরপর দুই বিস্ফোরণ ঘটে। সেবার একটি হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এবার সেই একই জায়গায় ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
সোমালিয়া পুলিশের মুখপাত্র সাদিক ডুডিশে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় ঠিক দুপুর ২ টো নাগাদ ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মূলত সাধারণ মানুষকে নিশানা করেই এই হামলা হয়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় সোমালিয়ার এক সাংবাদিক মহম্মদ কোনারও মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এক দশক ধরে সোমালিয়ায় আল-কায়েদা আর আল-শাবাবের মধ্যে লড়াই চলছে। সরকার সরিয়ে শরিয়া আইন বলবৎ করতে মরিয়া তারা। কখনও হোটেল, কখনও রেস্তোরাঁ, কখনও দোকানগুলিকে নিশানা করছে সন্ত্রাসবাদীরা।