ওয়াশিংটন: গত এপ্রিলেই হাত বদল হয়েছে টুইটারের, আকাশছোঁয়া মূল্যে মাইক্রোব্লগিং সাইট কিনে নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। কিন্তু মাস ঘুরতে না ঘুরতেই বেঁকে বসেন তিনি। জানান, টুইটার কর্তৃপক্ষের জমা দেওয়া বেশ কিছু নথির মধ্যে মিল না পাওয়ায়, আপাতত টুইটারের মালিকানা হস্তান্তরের চুক্তি স্থগিত রাখা হচ্ছে। এবার টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফেও পাল্টা জবাবে মাস্ককে জানিয়ে দেওয়া হল যে হার্ট-স্কট-রোডিনো অ্যান্টিট্রাস্ট ইমপ্রুভমেন্ট আইন অনুযায়ী টুইটারের মালিকানা চুক্তি কার্যকর হওয়ার সময় পার হয়ে গিয়েছে। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, টুইটারের মালিকানা কি তবে ইলন মাস্কের হাতছাড়া হতে চলেছে?
গত এপ্রিলেই ৪৪০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে টুইটার সংস্থাকে কিনে নেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক। তবে এত বড় সংস্থা হওয়ায় এবং প্রচুর শেয়ার গ্রহীতা থাকায় মালিকানা সম্পূর্ণ হস্তান্তরিত হতে চলতি বছরের শেষ অবধি সময় লেগে যাবে বলেই জানানো হয়েছিল। এরইমাঝে কর্মী ছাটাই থেকে শুরু করে টুইটারে একাধিক বদল আনার প্রস্তাব দেন মাস্ক। তবে সেই সব নিয়ম কার্যকর হওয়ার আগেই হঠাৎ মে মাসে তিনি মালিকানা অধিগ্রহণে বেঁকে বসেন। মাস্ক জানান, স্প্যাম এবং ভুয়ো অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে যে বিশদ বিবরণ চেয়েছিলেন তিনি, তা এখনও হাতে পাননি। তাই আপাতত এই চুক্তি স্থগিত রাখা হচ্ছে।
শুক্রবার টুইটার সংস্থার তরফে জানানো হয়, এইচএসআর আইন অনুযায়ী, ৪৪০০ কোটি ডলারের এই চুক্তির ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার চুক্তি পাকাপাকি সম্পন্ন করার জন্য টুইটারের স্টকহোল্ডার ও রেগুলেটরি অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন বলেই জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।
উল্লেখ্য়, হার্ট-স্কট-রোডিনো অ্যান্টিট্রাস্ট ইমপ্রুভমেন্ট আইন বা এইচআরএ আইন ১৯৭৬ অনুযায়ী, বিপুল অর্থের কোনও চুক্তির লেনদেনের জন্য ফেডেরাল ট্রেড কমিশন ও মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস অ্যান্টিট্রাস্ট ডিভিশনের কাছে পর্যালোচনার জন্য় পাঠাতে হয়।
টুইটার কেনার জন্য ইলন মাস্ক ইতিমধ্যেই ইক্যুয়িটি ফিন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ৩৩৫০ কোটি ডলার ও ঋণ বাবদ ১৩০০ কোটি টাকা জোগাড় করেছেন। তবে সম্প্রতি ইলন মাস্কের টুইটার নিয়ে অনীহা দেখা দেওয়ায় টুইটারের চুক্তি নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।