১৭০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে ‘স্ট্রং’ টাইফুন, বন্ধ করে দেওয়া হল বিমান পরিষেবা

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 13, 2021 | 9:42 AM

Typhoon in China: চিনের সাংঘাই ও উপকূলবর্তী অন্যান্য এলাকায় টাইফুন আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আপাতত সুপার টাইফুনের চেহারায় রয়েছে সেই ঝড়।

১৭০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে স্ট্রং টাইফুন, বন্ধ করে দেওয়া হল বিমান পরিষেবা
সাংঘাই শহরে আছড়ে পড়বে সেই ঝড়

Follow Us

বেজিং: এগিয়ে আসছে টাইফুন (Typhoon)। আতঙ্কের প্রহর গুণছে চিনের উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। মূলত সাংঘাই (Sanghai) শহর ও আশেপাশের উপকূলবর্তী এলাকাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই বিপর্যয়ের আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপকূলবর্তী এলাকার বিমানবন্দরগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। ওই সব বিমানবন্দরে আপাতত বন্ধ থাকছে পরিষেবা। সাবওয়ে ও ট্রেন লাইনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থল থেকে ১৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ধেয়ে আসছে সেই ঘূর্ণীঝড়। প্রাথমিকভাবে এটিক সুপার টাইফুন হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও, সেটি কিছুটা শক্তি কমিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই আবহাওয়াবিদরা এই ঝড়কে আপাতত ‘স্ট্রং’ টাইফুন বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। রবিবার রাতের পর থেকে ঝড় একটু একটু করে শক্তি কমাচ্ছে, তবে আশঙ্কার মেঘ এখনও কাটেনি। টাইফুনের জেরে উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হবে ও প্রবল বেগে বইবে হাওয়া।

সাংঘাই-এর পুডং বিমানবন্দরে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ১১ টা থেকে উড়বে না কোনও বিমান। এ ছাড়া অপর একটি বিমানবন্দর হংকিও-তে দুপুর ৩ টে থেকে পরিষেনা বন্ধ রাখা হবে। সাংঘাই শহরই মূলত টাইফুনের আঘাত পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হলেও ঝেজিয়াং প্রদেশেও জারি হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। অন্তত ৯ টি জেলায় হতে পারে বন্যা। তাই আবহাওয়া দফতরের তরফে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। বিভিন্ন জায়গায় ২৫০ থেকে ২৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

কিছুদিন আগেই এক ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে যায় আমেরিকার একাংশের উপকূলবর্তী এলাকা। হারিকেন ইদার ব্যাপক প্রভাব পড়ে আমেরিকায়। উল্টোদিকে বইতে শুরু করে মিসিসিপি নদীর জল। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কোথাও নদীর উল্টো গতিপথ, কোথাও আবার আস্ত বাড়ি হাওয়ায় উপড়ে যাওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রতি ঘণ্টায় ২৪০ কিমি বেগে হাওয়া বইতে দেখা যায় আমেরিকায়।

আরও পড়ুন: মাথা থেকে পা অবধি মোড়া কালো কাপড়ে, পরিচয় জানাই দায়! তালিবরাজে নারী স্বাধীনতার নিদারুণ উদাহরণ

Next Article