কাম্পালা: মঙ্গলবার (২ মে), ব্যক্তিগত দেহরক্ষী গুলিতেই প্রাণ গেল উগান্ডার মন্ত্রী, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল চার্লস এনগোলা। প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি মুসেভেনির সরকারে শ্রম, কর্মসংস্থান এবং শিল্প সম্পর্কিত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার একটি শহরতলিতে বাসভবনের ভিতরেই গুলি করে হত্যা করা হয় এনগোলাকে। ঘটনার প্রেক্ষাপট এবং গুরুত্বের দিক থেকে কোনও তুলনা না হলেও, এই ঘটনায় অনেকেরই মনে পড়ে গিয়েছে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার ঘটনা। তাঁকেও, তাঁর বাসভবনের ভিতর গুলি করে হত্যা করেছিল তাঁর এক দেহরক্ষী।
চার্লস এনগোলাকে ঠিক কী কারণে হত্যা করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেহরক্ষীর সঙ্গে বেতন নিয়ে বিরোধ হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গুলি করার সময়ে দেহরক্ষী চিৎকার করে বলেছিল, মন্ত্রীর হয়ে কাজ করা সত্ত্বেও তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে বেতন দেওয়া হয়নি। এনগোলাকে হত্যার পর একই বন্দুক দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই দেহরক্ষী। তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন উগান্ডা সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার ফেলিক্স কুলাইগিয়ে। তিনি বলেছেন, “চার্লস এনগোলাকে হত্যা করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা যৌথভাবে বিষয়টি তদন্ত করব। অবিলম্বে তদন্তের ফলাফল বিস্তারিতভাবে জনগণকে জানাব।”
“I can’t work for a Minister yet iam broke”- the last words of UPDF bodyguard who has shot that State Minister of Labour Hon Charles Engola.#RIP pic.twitter.com/RsxN1QixO3
— Harunah Kiyemba???? (@harunakiye) May 2, 2023
এনগোলার হত্যাকাণ্ড গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিলেও, উগান্ডায় কিন্তু বছরের পর বছর ধরে একের পর এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তার মৃত্যু হয়েছে বন্দুক হামলায়। ২০২১-এ কাম্পালায় হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল সেই দেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল কাতুম্বা ওয়ামালাকে। ওয়ামালা ও তাঁর মেয়ে যে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন, সেই গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল মোটরবাইক আরোহী চার হামলাকারী। গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন ওয়ামালা। তবেতাঁর মেয়ে ব্রেন্ডা এবং গাড়িটির চালকের মৃত্যু হয়েছিল।