UK PM Election: ব্যালট বাক্সে হ্যাকারের হানার আশঙ্কা, রাতারাতি বদলে গেল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পদ্ধতিই!

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 04, 2022 | 1:40 PM

UK PM Election: প্রাথমিকভাবে কনজারভেটিভ পার্টির পরিকল্পনা ছিল তারা সমস্ত সদস্যদেরই অনলাইন বা অফলাইন-কোন মাধ্য়মে ভোট দিতে চান, তা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে কেউ ভোটদানের পর যদি মত পরিবর্তন করেন, তবে বিকল্প পদ্ধতিতে পুরনো ভোট বাতিল করে, নতুন ভোট গ্রহণের আবেদন জানাতে পারেন।

UK PM Election: ব্যালট বাক্সে হ্যাকারের হানার আশঙ্কা, রাতারাতি বদলে গেল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পদ্ধতিই!
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

লন্ডন: রাতারাতি বদলে যেতে পারে ব্যালট বক্সের ফলাফল। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের শেষ ধাপে এসে এমনটাই সতর্কবার্তা দিয়েছে ব্রিটেনের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার। ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ব্যালট
বক্সে সাইবার হানা হতে পারে, এই সতর্কবার্তা দেওয়ার পরই রাতারাতি এবার বদলে দেওয়া হল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পদ্ধতিই। বুধবার ব্রিট্রেনের শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির তরফে জানানো হয়, গোয়েন্দাদের পরামর্শ মেনে সাইবার হানার হাত থেকে রক্ষা পেতে নির্বাচনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা হল।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ইস্তফার পরই ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েক ধাপ পেরিয়ে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক ও বিদেশসচিব লিজ ট্রাস। আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে, ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগেই সাইবার হানার সতর্কতা জারি করেছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা। ব্যালট বক্স হ্য়াক করে ভোটের ফলাফল বদল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই কনজারভেটিভ পার্টির সিদ্ধান্ত অনলাইন ও অফলাইন- দুই পদ্ধতিতে ভোটদানের প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে কনজারভেটিভ পার্টির পরিকল্পনা ছিল তারা সমস্ত সদস্যদেরই অনলাইন বা অফলাইন-কোন মাধ্য়মে ভোট দিতে চান, তা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে কেউ ভোটদানের পর যদি মত পরিবর্তন করেন, তবে বিকল্প পদ্ধতিতে পুরনো ভোট বাতিল করে, নতুন ভোট গ্রহণের আবেদন জানাতে পারেন। অর্থাৎ কেউ যদি পোস্টাল ব্যালটে কোনও একজন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে ভোট দেন এবং পরে সেই ভোট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন, তবে অনলাইনে আগের ভোট বাতিল করে নতুন ভোট স্বীকার করার আবেদন জানাতে পারবেন। এর উল্টোটিও সম্ভব।

তবে সাইবার হানার শঙ্কা প্রকাশের পরই আপাতত এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। পোস্টাল ব্য়ালটেই ১ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার সদস্যের ভোট গ্রহণ করা হবে। চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকেই কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য়দের বাড়িতে ব্য়ালট পেপার পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই প্রক্রিয়াতেও কিছুটা দেরি হচ্ছে। প্রথম ধাপে পোস্টাল ব্যালট পৌঁছতে আগামী বৃহস্পতিবার হয়ে যাবে। সম্পূর্ণ রূপে ব্যালট বক্সেই ভোট গ্রহণ হবে। কোনও সদস্য দুইবার ভোট দিতে পারবেন না। যদি কেউ দুবার ভোট দিতে ধরা পড়েন, তবে তাঁর সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

পুরনো পরিকল্পনায় টোরি সদস্যরা ভোট বদলের ক্ষমতা পেলেও, বর্তমানে সেই পরিকল্পনা সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক সদস্যকেই যে ব্যালট পেপার দেওয়া হবে, তাতে একটি ইউনিক কোড থাকবে। একবার ভোট দেওয়া হয়ে গেলেই সেই কোড ডিঅ্যাকটিভেট হয়ে যাবে, যাতে পরে কেউ ভোট দিতে না পারেন।

Next Article