লন্ডন: স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করা উচিত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি রিপোর্টে এ রকমই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ক্লাসরুমে হট্টগোল কমাতে, শিক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়ার মান বাড়াতে এবং ছোটদের অনলাইন বুলিং থেকে বাঁচাতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শাখা ইউনেস্কো। সেই ইউনেস্কোর রিপোর্টেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে মোবাইল ফোনের ব্যবহার এডুকেশনাল পারফরম্যান্সের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। এর পাশাপাশি ইমোশনালি পড়ুয়াদের তা বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
ইউনেস্কোর রিপোর্টে লেখা হয়েছে, শিক্ষার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘হিউম্যান সেন্টার্ড ভিশন’ -এর অধীনস্থ হওয়া উচিত। শিক্ষকের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎকে কখনই প্রতিস্থাপিত করা উচিত নয়। এর পর রিপোর্টে লেখা হয়েছে, “সব পরিবর্তন উন্নতির পথে নিয়ে যায় না। কোনও কিছু করা যায় বলেই সেটা করা উচিত নয়।”
শিক্ষার বিষয়ে মুখোমুখি সাক্ষাতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে নীতি নির্ধাকরদের এ বিষয়ে সজাগ হওয়ার অনুরোধও জানিয়েছে ইউনেস্কো। সেখানে শিক্ষার সামাজিক ব্যাপ্তির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সে বিষয়ে বলা হয়েছে, “যাঁরা শিক্ষার ব্যক্তিকরণ করতে উদ্যোগী তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন শিক্ষার উদ্দেশ্য।” ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতিতে যে বিপুল সুবিধা তৈরি হয়েছে, তাকে কৌশলে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার মাধ্যমকে পরিবর্তন করে শিক্ষার গুণমান আদৌও বাড়ানো সম্ভব নাকি সে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ইউনেস্কোর রিপোর্টে। ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মাধ্যম কখনও মুখোমুখি আদানপ্রদানের বিকল্প হতে পারে না বলেও জানানো হয়েছে। সে জন্য ছোটটের শিক্ষার জন্য শিক্ষাদানের পদ্ধতির বিষয়েও নজর রাখার বিষয়টি উল্লেখিত হয়েছে রিপোর্টে।