নয়াদিল্লি: মঞ্চ প্রস্তুত। আর কয়েকঘণ্টার প্রতীক্ষা। তারপরই জার্মানির স্টুটগার্টের এমএইচপি অ্যারেনা স্টেডিয়ামে শুরু হবে টিভি৯ নেটয়ার্কের নিউজ৯ গ্লোবাল সামিট। ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই সম্মেলন চলবে। সম্মেলনে অংশ নেবেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলওয়ে, তথ্য ও সম্প্রচারে ভারতের প্রভূত উন্নতির কথা তুলে ধরবেন। জার্মানির সঙ্গে ভারতের মজবুত সম্পর্কের কথাও বলবেন তিনি। একইসঙ্গে ভারতীয় রেলের উন্নতি, তথ্য ও সম্প্রচারে ভারতের অগ্রগতির কথা স্থান পাবে তাঁর বক্তব্যে।
তিনদিনের এই সম্মেলনের কেন্দ্রীয় থিম হল ‘ভারত এবং জার্মানি: মজবুত বৃদ্ধির জন্য একটা রোডম্যাপ’। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বক্তব্য় রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জার্মানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে ভারত যে দৃঢ়বদ্ধ, সেকথা তুলে ধরবেন তিনি। এই গ্লোবাল সামিটের সহ-আয়োজক বুন্দেশলিগা ক্লাব ভিএফবি স্টুটগার্ট। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে বাদেন-উর্টেমবার্গ প্রশাসন।
এই সম্মেলনে দুই দেশের মজবুত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখবেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনটি ‘টি’-তে ভারত যে জোর দিচ্ছে সেকথা তুলে ধরবেন। ওই তিন T হল ট্যালেন্ট, ট্রান্সফর্মেশন এবং টেকনোলজি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন ‘টি’-র প্রথমটি অর্থাৎ ট্যালেন্ট হল ভারতের যুব ও দক্ষ কর্মীর বিপুল সংখ্যা। যা যেকোনও শিল্পের জন্য সম্পদ। শিল্প ক্ষেত্রের চাহিদা পূরণের জন্য তাঁদের চিহ্নিত করে প্রতিনিয়ত দক্ষতা আরও বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ করা। দ্বিতীয় ‘টি’ অর্থাৎ ট্রান্সফর্মেশন হল শিল্পক্ষেত্রে ডিজিটালের প্রভাব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ক্লাউড কম্পিটিংয়ের মতো প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে শিল্পক্ষেত্রে। তৃতীয় ‘টি’ অর্থাৎ টেকনোলজি হল কর্মক্ষমতাকে আরও বাড়াতে প্রযুক্তির ব্যবহার। উৎপাদনও বাড়বে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। প্রতিনিয়ত শেখার সংস্কৃতিকে লালনপালন করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্থির এই বিশ্বে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে ভারত ও জার্মানি। ভারত ও জার্মানি হাতে হাত মিলিয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোর উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড তৈরি করতে পারে। ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। সেখানে জার্মানি রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
ইউরোপে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যসঙ্গী জার্মানি। এবং বিশ্বজুড়ে ভারতের প্রথম ১০ বাণিজ্যসঙ্গীর মধ্যেও জার্মানি রয়েছে। এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাতারাতি হয়নি। দুই দেশ তাদের কূটনৈতিক সীমান্ত পরস্পরের জন্য খুলে দেয় ১৯৫১ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পর ভারত অন্যতম দেশ, যে জার্মানির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।