AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দু-নৌকায় পা মার্কিন মুলুকের, কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের প্রশংসা করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও সমর্থন

আন্দোলনে সমর্থন জানালেও আবার কৃষি আইনে সংস্কার নিয়েও প্রশংসাই করা হয়েছে বাইডেন প্রশাসনের তরফে। প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়, "সাধারণভাবে ভারতীয় বাজারের উন্নতি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য গৃহীত পদক্ষেপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়।"

দু-নৌকায় পা মার্কিন মুলুকের, কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের প্রশংসা করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও সমর্থন
কৃষক আন্দোলনে মার্কিন মুলুকের অবস্থান ঠিক কী?
| Updated on: Feb 04, 2021 | 5:01 PM
Share

নয়া দিল্লি: কৃষক আন্দোলন নিয়ে দ্বিধায় পড়েছে মার্কিন প্রশাসন, সে কথা স্পষ্টভাবেই প্রকাশ পেল বুধবার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্রের কথায়। একদিকে, বেসরকারিকরণের ফলে কৃষকরা উপকৃত হবেন বলে জানিয়ে মোদী সরকারের প্রশংসা করে মার্কিন প্রশাসন। একইসঙ্গে আবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন উন্নত গণতন্ত্রের প্রতীক বলেও জানানো হয় বাইডেন সরকারের তরফে।

মার্কিন পপ গায়িকা রিহানা থেকে শুরু করে পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব হওয়ার পরই শোরগোল পরে যায় বিশ্বজুড়ে। জবাবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে সচিন তেন্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন জগতের তারকারা টুইট করে কৃষক আন্দোলনকে দেশের “অভ্যন্তরীণ বিষয়” বলে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে বিদেশী অপপ্রচার ভারতের একতাকে ভাঙতে পারবে না বলেও জানানো হয়।

এদিকে, বুধবারই আমেরিকার দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলন একটি উন্নত গণতন্ত্রেরই প্রতীক এবং ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টও একই কথা বলেছে। আলোচনার মাধ্যমেই দুইপক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানেরই পক্ষে সমর্থন জানাই আমরা।”

আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলন: বিদেশি ‘অপপ্রচারের’ বিরুদ্ধে গর্জন লতা-সচিন-সৌরভদের

আন্দোলনে সমর্থন জানালেও আবার কৃষি আইনে সংস্কার নিয়েও প্রশংসাই করা হয়েছে বাইডেন প্রশাসনের তরফে। প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়, “সাধারণভাবে ভারতীয় বাজারের উন্নতি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য গৃহীত পদক্ষেপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়।”

দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে চলা কৃষক আন্দোলনে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, “ইন্টারনেট সংযোগ সহ বিনা বাধায় তথ্য আহরণের অধিকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অংশ ও উন্নত গণতন্ত্রের চিহ্নপ্রমাণ।”

দুদিন আগেই মার্কিন গায়িকা রিহানা কৃষক আন্দোলন সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে টুইট করে প্রশ্ন তোলেন, “এই বিষয়ে আমরা কথা বলছি না কেন?” এরপরই টুইটটি ভাইরাল হয়। রিহানার টুইটের জবাবে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত কৃষকদের জঙ্গি বলে আখ্যা দেন ও রিহানাকেও বোকা বলে সম্বোধন করেন। আন্তর্জাতিক মহলে এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে লেখেন, “কোনও অপপ্রচারই ভারতের একতাকে ভাঙতে পারবে না। কোনও অপপ্রচারই ভারতকে নতুন উচ্চতা অর্জনে থামাতে পারবে না!”। টুইট করেন প্রবীণ গায়িকা লতা মঙ্গেশকর টুইটে লেখেন, “আমরা যে সমস্যারই সম্মুখীন হই না কেন, নিজেরা তার সমাধান করতে সক্ষম।”

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মোদী সরকারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে ভারত-চিন সম্পর্ক থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি গদি বদল হওয়ার পর এই প্রথম বাইডেন প্রশাসনের তরফে ভারতের কোনও বিষয়ে মন্তব্য করা হয়। আন্তর্জাতিক মহলে এই বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন কূটনৈতিকরা।

আরও পড়ুন: করোনার কোপ, আম ভারতীয়র প্রবেশ নিষেধ সৌদিতে!