ভার্জিনিয়া: প্রেম, যৌন চাহিদা মানে না বয়স। তাই ১৪ বছরের ছাত্রের সঙ্গেই যৌনতায় লিপ্ত হতেন ২৫ বছরের শিক্ষিকা। কখনও বাড়িতে ডেকে তো কখনও ফাঁকা ক্লাসরুমে, এমনকি গাড়ি পার্কিং লটেও কিশোর ছাত্রের সঙ্গে যৌনতায় মেতে উঠতেন শিক্ষিকা মেগান পলিন জর্ডন। তবে ঘটনাটি গোপন থাকেনি। আদালতে মামলা উঠতেই যুবতী শিক্ষিকাকে নজিরবিহীন শাস্তি দিলেন বিচারক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন মুলুকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার হাংরি ক্রিক মিডল স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন মেগান পলিন জর্ডন। তিনি বিবাহিত। কিন্তু, তারপরেও মেগান ১৪ বছরের কিশোর ছাত্রকে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ। পুলিশি জেরায় ও আদালতে তিনি ছাত্রের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন।
হেনরিকো কাউন্টির কমনওয়েলথ অ্যাটর্নি শ্যানন টেলর জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ সালেই ওই কিশোরের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেগান। কিশোরের বাড়িতে গিয়েও শরীরী খেলায় মেতে উঠেছেন তিনি। ওই কিশোরের বিছানায় তাঁর ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে।
ভার্জিনিয়ার আইন অনুযায়ী, ১৭ বছরের কম বয়সি ছেলে-মেয়েদের যৌনতায় লিপ্ত হওয়া আইনত অপরাধ। তাই ১৪ বছরের কিশোরের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে মেগানকে অপরাধী বলে গণ্য করা হয়েছে। গত বছরের জুন মাসেই মেগানকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর দীর্ঘ মামলা চলার পর মেগান অপরাধ স্বীকার করে নেন এবং তাঁকে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দিল ভার্জিনিয়ার আদালত।
প্রসঙ্গত, মার্কিন মুলুকে কিশোর ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষিকার যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। গত মাসেই আরাকানসাসের ৩৩ বছর বয়সি এক স্কুল শিক্ষিকার ১৭ বছরের এক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। হিথার হেয়ার নামে ওই শিক্ষিকা কিশোর ছাত্রের সঙ্গে ২০ থেকে ৩০ বার যৌনতায় লিপ্ত হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কিশোর ছাত্রকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগে গত এপ্রিলে গ্রেফতার হন ওই শিক্ষিকা।