ওয়াশিংটন: কয়েক মাস আগেই গোটা বিশ্ব আলোড়ন ফেলেছিল চিনা স্পাই বেলুন (China Spy Balloon)। আমেরিকা সহ একাধিক দেশের উপরেই নজরে এসেছিল বেলুনের রহস্যজনক গতিবিধি। সেই সময় থেকেই অভিযোগ উঠেছিল, বিভিন্ন দেশের উপরে নজরদারি চালাচ্ছে চিন (China)। এবার নতুন এবং আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল চিনের নজরদারি নিয়ে। মার্কিন প্রশাসনের এক আধিকারিক দাবি করেন, চিন দীর্ঘ সময় ধরে কিউবায় (Cuba) গুপ্তচর ঘাঁটি (Spy Base) থেকে নজরদারি চালাচ্ছে। যদিও হোয়াইট হাউসের (White House) তরফে এই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন আধিকারিক জানান, কিউবা থেকে দীর্ঘ সময় ধরেই চিন নজরদারি চালাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য প্রান্ত থেকেও তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারি চালানোর চেষ্টা করছে চিন। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ এই বিষয়ে অবগত ছিল বলেই জানান তিনি। মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর গোয়েন্দা রিপোর্টেও এই তথ্য নথিবদ্ধ করা রয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের তরফে চিনের এই নজরদারি রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও জানানো হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পরই মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট জানতে চান। সেই সময়ই জানা যায়, চিন কিউবা থেকে নজরদারি চালাচ্ছে। ২০১৯ সালে তারা ওই নজরদারি কেন্দ্রে একাধিক পরিবর্তনও করে।
সম্প্রতিই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা উপস্থিতি বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, কিউবা ও চিনের মধ্যে চুক্তি হয়েছে ইলেকট্রনিক নজরদারি স্টেশন তৈরির। কিউবায় এই ইলেকট্রনিক স্টেশন তৈরির বদলে কিউবাকে কয়েকশো কোটি ডলার আর্থিক সাহায্য করবে চিন, এমনটাই জানা গিয়েছে।
কিউবায় চিন ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন স্টেশন তৈরি করলে, তারা সহজেই দক্ষিণ-পূর্ব আমেরিকার যাবতীয় গতিবিধির উপরে নজর রাখতে পারবে। যদিও হোয়াইট হাউসের তরফে চিনের নজরদারির তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, “আমি ওই প্রেস রিপোর্ট দেখেছি। এই তথ্য সঠিক নয়।”
অন্যদিকে, কিউবাও সরকারের তরফে মার্কিন এই রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে এবং রিপোর্টে উল্লেখিত তথ্য মিথ্যা বলেই দাবি করেছে।