ওয়াশিংটন: বেলুন নিয়ে তোলপাড়, উত্তেজনা বাড়ছে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে। বিগত কয়েকদিন ধরেই আমেরিকার আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছিল রহস্যজনক একটি বেলুন। চিনের এই বেলুনটি মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপরে নজরদারি করা ও গোপন তথ্য সংগ্রহের জন্যই পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করে পেন্টাগন। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে চিন। গত সপ্তাহেই রহস্যজনক ওই বেলুন মিসাইল ছুড়ে নামায় মার্কিন সেনাবাহিনী। অবশেষে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে উদ্ধার করা হল চিনা বেলুনের ধ্বংসাবশেষ। নৌকার ওপরে জল থেকে তোলা বেলুনের ছবি প্রকাশ করল মার্কিন নৌসেনা।
গত সপ্তাহের শনিবারই মিসাইল ছুড়ে চিনা বেলুন ধ্বংস করা হয়। বেলুন ধ্বংসের খবর প্রচারের পাশাপাশিই জানানো হয়েছিল, দক্ষিণ ক্য়ারোলিনার উপকূলবর্তী আটলান্টিক মহাসাগরের উপরে পড়েছে ওই বেলুন। তা উদ্ধার করার জন্য দক্ষ ডুবুরি ও নৌকা পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার মার্কিন নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ধ্বংস করা বেলুনটির অংশাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় মাঝামাঝি অংশে ভাসছিল ওই বেলুনটির অংশ। ২০০ ফুট উচ্চতায় উড়ছিল ওই রহস্যজনক বেলুনটি। বেলুনটির ওজন প্রায় ১০০০ পাউন্ড। পেন্টাগন সূত্রে খবর, বেলুনের ধ্বংসাবশেষের মধ্য়ে থেকে বিমানের যন্ত্রাংশ মিলেছে। আমেরিকার উপরে নজরদারি চালাতে কোনও যন্ত্রাংশ ব্যবহার হয়েছি কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বেলুনের ধ্বংসাবশেষ খুঁজতে কিংফিশ ও সোর্ডফিশ নামে দুটি ড্রোন পাঠিয়েছিল মার্কিন নৌসেনা। ড্রোনের মাধ্যমেই চিহ্নিত করা হয় ওই বেলুনটিকে। নৌসেনার ডুবুরিরা এখনও অবধি বেলুনের সাদা মোটা কাপড় ও খোলসের কাঠামো উদ্ধার করেছে। বর্তমানে সমুদ্রের গভীরে ওই বিশালাকার বেলুনের ধ্বংসাবশেষেক খোঁজ করা হচ্ছে। ভাসমান ওই বেলুন থেকে ইন্টেলিজেন্স কালেকশন পড উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা এই পড ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ কোয়ান্টিকোয় এফবিআই ল্যাবে পাঠানো হবে।
এই পড যাচাই করেই জানা যাবে যে আমেরিকার উপরে চিনের নজরাদারির অভিযোগ সত্যি কিনা। যদিও এখনও অবধি পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, রহস্যজনক ওই বেলুনের কারণে দেশের জাতীয় নিরাপত্তায় কোনও ঝুঁকি তৈরি হয়নি।