AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

US Tariff on India: রাশিয়ার কোমর ভাঙতে ভারতের উপরে আরও শুল্ক চাপাবে আমেরিকা? মিলল বড় ইঙ্গিত

USA on Russia-Ukraine War: ট্রেজারি সেক্রেটারি জানিয়েছেন, রাশিয়ার উপরে কীভাবে আরও চাপ সৃষ্টি করা যায়, তা নিয়ে আমেরিকা ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমেরিকা রাশিয়ার উপরে চাপ সৃষ্টি করতে প্রস্তুত, তবে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নকেও সমর্থন করতে হবে, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে।

US Tariff on India: রাশিয়ার কোমর ভাঙতে ভারতের উপরে আরও শুল্ক চাপাবে আমেরিকা? মিলল বড় ইঙ্গিত
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট।Image Credit: PTI
| Updated on: Sep 08, 2025 | 7:10 AM
Share

ওয়াশিংটন: নোবেল চাই-ই চাই। আর তার জন্য বারবার শুল্কের ‘জুজু’ দেখাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। রাশিয়াকে চাপে ফেলতে ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক (Tariff) চাপানো হয়েছে। এবার কি সেই শুল্ক আরও বাড়ানো হবে? মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের মন্তব্যে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি বলেন যে দেশগুলি রাশিয়ার কাছ থেকে ক্রুড তেল কেনে, তাদের উপরে যদি ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন আরও শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়, তাহলে রাশিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়বে।  

এনবিসি নিউজ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্কট বেসেন্ট বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লায়েনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন ফোনে। রাশিয়ার উপরে কীভাবে আরও চাপ সৃষ্টি করা যায়, তা নিয়ে আমেরিকা ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক হিসাবে প্রথমেই ভারতের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল আমেরিকা। তাতে ভারত কোনও আপত্তি জানায়নি। তবে এরপরই রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপরে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার গর্জে ওঠে ভারত। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তকে অনৈতিক বলেই উল্লেখ করে নয়া দিল্লি।  এবার ফের আমেরিকার আরও একবার রাশিয়ার সঙ্গে অংশীদারী দেশগুলির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকি।

ট্রেজারি সেক্রেটারি জানিয়েছেন, আমেরিকা রাশিয়ার উপরে চাপ সৃষ্টি করতে প্রস্তুত, তবে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নকেও সমর্থন করতে হবে, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে। বেসেন্ট বলেন, “এখন আমরা এই প্রতিযোগীতার মধ্যে রয়েছি যে ইউক্রেনিয়ান মিলিটারি কতদিন প্রতিরোধ করতে পারে বনাম রাশিয়ার অর্থনীতি কতদিন টিকে থাকতে পারে। যদি আমেরিকা ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন একসঙ্গে আসে, তাহলে আরও নিষেধাজ্ঞা, অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো যেতে পারে সেই সব দেশে, যারা রাশিয়ান তেল কেনে। এতে রাশিয়ার অর্থনীতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করাবে।”