লাস ভেগাস: যৌনরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর দাবি করছেন, ভগবান আশীর্বাদ হিসাবে এই রোগ তাঁকে দিয়েছেন। আজব দাবি করা ওই মহিলা আমেরিকার লাস ভেগাসের বাসিন্দা। ৩৯ বছরের ওই মহিলার নাম আলেক্সজান্ডার হারবুশকা। ২০১১ সালে হারপিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক স্থানীয় সংবাদমাধ্য়মকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অদ্ভুত মন্তব্য করেছেন।
ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর প্রাক্তন সঙ্গীর থেকে এই যৌনরোগে সংক্রামিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই রোগ হওয়ায় ভেঙে পড়েননি তিনি। উল্টে এই রোগকে ভগবানের আশীর্বাদ হিসাবে মনে করেন তিনি। এ ব্যাপারে ওই সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “হার্পিস হওয়ায় আমি দুঃখিত নই। আমি মনে করি ভগবান এই রোগের মাধ্যমে আমাকে বার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি আমাকে হার্পিস দিয়েছেন, যাতে আমি জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে পারি। যাতে আমার ভুল শুধরে যায়।”
যদিও তিনি জানিয়েছেন, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু ২ বছর লড়াইয়ের পর সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সমর্থ হন। তখন নতুন কারও সঙ্গে ডেট করতেও সমস্যা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “যৌনরোগের কথা শুনে কেউ যদি প্রত্যাখ্যান করেন, সেই ভয় করত মনে। তাই আমি কারও সঙ্গে ডেটে যেতে পারতাম না।” যদিও এর পর এক সঙ্গীকে তিনি পেয়েছেন জীবনে। তাঁকে বিয়েও করেছেন। এখন তাঁর ২ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে।
আমেরিকার ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, হার্পিস একটি যৌন রোগ। সাধারণত, ভ্যাজাইনাল, অ্যানাল এবং ওরাল সেক্সের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। আমেরিকার ১৪ থেকে ৪৯ বছর বয়সিদের মধ্যে প্রায় ১১.৯ শতাংশ এই রোগে আক্রান্ত। ওই মহিলা জানিয়েছেন, বর্তমানে এই রোগের ব্যাপারে সচেতনতা প্রচার করেন তিনি। সেফ সেক্স করার জন্য উপদেশ দেন পরিচিত থেকে বন্ধুবান্ধবদের।