ব্যস্ত রাস্তার ধারে ফুটপাত। সেই ফুটপাতের এক চিলতে চায়ের দোকান। কম বয়সে সুদর্শন এক যুবক সেখানে চা বিক্রি করেন। এই ‘সুদর্শন’ চেহারাই একদিন তাঁকে তুলে আনে পরিচিতিতে। সময়টা ২০১৬, ইন্টারনেটে তুমুল ভাইরাল হয়েছিলেন পাকিস্তানের চা বিক্রেতা আরশাদ খান। যদিও বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সেই সঙ্গে ‘ব্র্যান্ডেড’ ক্যাফের মালিকও বটে। সম্প্রতি আরশাদকে পাকিস্তানের ‘সার্ক ট্যাংক’ ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্বে দেখা যায়। তাঁর সঙ্গে ওই শো তে অংশগ্রহণ করেন তাঁর বিজনেস পার্টনার কাজিম হাসানও। নিজের ক্যাফে ব্র্যান্ডটি তুলে ধরার জন্য সেখানে এসেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে, নিজের স্বপ্ন নিউ বিস্তারিত আলোচনা করেন ওই টিভি শোতে।
শো-তে নিজের কিছু অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে দেখা যায় আরশাদকে। বলেন, “২০১৬ সালে আমার ছবি ভাইরাল হয় ইন্টারনেটে। পরবর্তী কয়েক মাস আমার সঙ্গে কী হচ্ছে আমি নিজেও বুঝতে পারিনি। তবে বিষয়টিকে সুযোগ হিসেবে অনুধাবন করার পর, আমি অভিনয় এবং মডেলিংয়ে মন দিই। সেটাই ছিল প্রথম আমার শহরের বাইরে যাওয়া। কারণ,এই ঘটনাটার আগে আমি কখনও ইসলামাবাদের বাইরে যাইনি।”
তিনি আরও বলেন, “পরবর্তীতে বেশ কিছু মানুষ আমাকে নিজের ক্যাফে তৈরি করার যুক্তি দেন। একটা সময় আমি অন্যের ধাবায় চাকরি করতাম, তখনও সেই স্বপ্ন দেখেছি।” নিজের বিজনেস পার্টনারের কথার পরিপ্রেক্ষিতে কাজিম বলেন, “২০২০ সালে আমরা প্রথম ইসলামাবাদে একটি রুফটপ ক্যাফে চালু করি। কিন্তু তখন বিশ্বজুড়ে কোরোনা হানা দেয়। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা ধাক্কা খায় শুরুতেই। পুনরায় আমরা অক্টোবর মাসে উদ্যোগ নিই। ভাগ্য সঙ্গ দেয় এইবার। আমাদের ক্যাফে তুমুল ভাইরাল হয়ে যায় ইন্টারনেটে। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের জোড়া আউটলেট রয়েছে আমাদের। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে লন্ডনে রয়েছে তিনটি।”
কীভাবে ব্যবসার এতটা শ্রীবৃদ্ধি হল?
কাজিমের কথায়, “আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজির হিসেবে আমাদের ক্যাফে ব্র্যান্ড বিক্রি করি। পাকিস্তানি ৩৫ হাজার টাকায় (ভারতীয় মূল্যে ১০হাজার৬০০) এবং পাঁচ শতাংশ রয়্যালটির ভিত্তিতে। একইভাবে লন্ডনে দেড় লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পাউন্ডে বিক্রি হয় আরশাদ এবং কাজিমের ক্যাফে ‘ক্যাফে চাওয়ালা’ ব্র্যান্ডের রাইট।”
পাকিস্তানের ওই জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো-এর বিচারক জুনায়েইদ ইকবাল হিসাব করেন, একসময়ের ভাইরাল চা ওয়ালা বর্তমানে প্রতি বছর ২ কোটি টাকা পাকিস্তানি টাকা আয় করেন। ভাবা যায়!
শো-য়ের মাঝে রোমানা দাদা বলেন, তার বিদেশে একই ধরণের ব্যবসা চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। রাবেলের সাথে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। কাজিম বলেন যে, তিনি আরও একজনের থেকে থেকে একইরকম প্রস্তাব পেয়েছেন এবং উসমানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি অনুকূল শর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ‘মাস্টার ফ্র্যাঞ্চাইজি’ কিনতে আগ্রহী কি না। কিছু পিছিয়ে পরে, কাজিম হাঙ্গরদের তাদের ইক্যুইটি আস্ক কমাতে বলেছিল, সে এবং আরশাদ রাবেল এবং রোমানার প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল।