কিয়েভ : রুশ বাহিনীর দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল রাশিয়া নিজেদের নামে ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য গণভোটের ডাক দিয়েছে। শুক্রবার সেই অঞ্চলে ভোটাভুটি শুরু হয়েছে। এবার ‘ছদ্ম-গণভোট’কে নিন্দা করার জন্য বিশ্বের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি।
জাতির উদ্দেশে তিনি তাঁর ভাষণে বলেছেন, ‘গোটা বিশ্ব নিশ্চয় এই ছদ্ম-গণভোটের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে। তাদের নিন্দা করা হবে।’ ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর ইউক্রেনের একের পর এক শহর দখল করেছে পুতিনের বাহিনী। তবে হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ নাগরিকরা। তাঁরাও যথাসম্ভব নিজেদের দক্ষতা অনুসারে রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করেছেন। ফলে বেশ কিছু জায়গা থেকে পিছু হঠতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী।
তবে এখনও ইউক্রেনের চারটি প্রদেশ আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ডনেৎস্ক ও লুহানস্ক এবং দক্ষিণে খেরসন ও জ়াপোরিঝঝিয়া। এই চার এলাকা নিজেদের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করার জন্যই গণভোটের ডাক দিয়েছে। শুক্রবার এই চার প্রদেশেই তাই ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই ভোটাভুটির মাধ্যমে এই এলাকার বাসিন্দাদের রাশিয়াতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। এদিকে সামরিক অভিযান শুরুর আগেই পুতিন ডনবাস অঞ্চলকে হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। যার ফলে পশ্চিমি বিশ্ব থেকে একাধিক নিন্দা ও সমালোচনাও কুড়িয়েছে রাশিয়া।
একাধিক পশ্চিমি দেশ বিশেষত বাইডেনের আমেরিকা পুতিনের এই গণভোটের প্রক্রিয়ার তীব্র ভর্ৎসনা করেছে। বাইডেন আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, পুতিন ‘গণভোটের’ মাধ্যমে ইউক্রেনের ভূখণ্ড নিজেদের দেশের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করলে খুব ভয়াবহ হবে। এর পাল্টা আংশিক সেনা গতিবিধি বাড়িয়ে পশ্চিমি দেশগুলিকে রাশিয়ার সমস্ত অস্ত্র ভাণ্ডার ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন। এর মাঝেই রাশিয়ার গণভোটের সিদ্ধান্তকে নিন্দার ডাক দিয়েছেন জ়েলেনস্কি।