মেলবোর্ন: শনিবার ২১ মে অস্ট্রেলিয়াতে সাধারণ নির্বাচন শুরু হয়েছে। জনমত সমীক্ষায় অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচনে (Australian Election) শাসক ও প্রধান বিরোধী দলের মধ্য জোর টক্কর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জনমত সমীক্ষার ফলে দেখা গিয়েছে এবারের নির্বাচনে বিরোধী লেবার পার্টি প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের (Scott Morrison) জোট সরকারের তুলনায় সামন্য এগিয়ে রয়েছে। বাম মনভাবাপন্ন লেবার পার্টি নয় বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিরোধী দলের দায়িত্ব সামলে আসছে। লেবার পার্টি নির্বাচনী প্রচারে প্রথম থেকে এগিয়ে থাকলেও প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নেতৃত্বধীন লিবারেল-ন্যাশনাল সরকার দীর্ঘ ৬ সপ্তাহব্যাপী প্রচার অভিযানের শেষ ধাপে লেবার পার্টির সঙ্গে ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছে। যদি অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে নির্দলরা ভাল ফলাফল করে তবে, অস্ট্রেলিয়ান সংসদ ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছেন সেদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শনিবার সকাল ৮ থেকে শুরু করে বিকেল ৬ অবধি বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটররা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধে থেকে নির্বাচনী ফলাফলের প্রাথমিক প্রবণতা জানা যাবে। যদিও অস্ট্রেলিয়ান ইলেকশন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে সব মিলিয়ে মোট ৩০ লক্ষ পোস্টাল ব্যালট থাকার কারণে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলে কাউকে জয়ী ঘোষণা করা সম্ভব নয়, কারণ ৩০ লক্ষ পোস্টাল ব্যালট গণনা করার জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
লেবার পার্টির নেতা অ্যান্টনি অ্যালবানিজ প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে ‘বিভাজনকারী’ আখ্যা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ মানুষকে তাঁকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অ্যান্টনি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধ নিয়ন্ত্রণ, এবং আদিবাসী সমস্যার সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভোটগ্রহণ চলার সময় অ্যান্টনি মেলবোর্নের বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র গিয়েছিলেন এবং ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, “লেবার পার্টিকে একবার সুযোগ দিন, এই দেশের জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।” এখন সেদেশের সাধারণ নির্বাচনেকে জেতে সেটাই এখন দেখার।