Israel Iran Conflict: পেরে উঠছিলেন না নেতানিয়াহু? ইরানকে ‘শায়েস্তা’ করতে কেন ডাকলেন আমেরিকাকে?
Israel Iran Conflict: যে মুহূর্তে আমেরিকা হামলা চালায় সেখানে,তখন ওই পারমাণবিক কেন্দ্রে কতটা ইউরেনিয়াম সংরক্ষিত ছিল, সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে এই পরিমাণ ইউরেনিয়াম অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূগর্ভের উপরে সর্বক্ষণ মোতায়েন রাখত ইরানের প্রশাসন।

নয়াদিল্লি: ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার ভোরে ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্র ফরডো, নাতানজ় ও ইসফাহানে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। ফরডো হল ইরানের সবচেয়ে সুরক্ষিত পরমাণু কেন্দ্র। যা কার্যত ইজরায়েলের ধরা ছোঁয়ার বাইরে, সেই কারণেই কি আমেরিকার হস্তক্ষেপ চেয়েছিল নেতানিয়াহুর সরকার? সেই নিয়েই এখন উঠছে প্রশ্ন।
কতটা নিরাপত্তার মোড়কে রয়েছে ফরডো?
জানা গিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে একটি পাহাড়ের নীচে রয়েছে ফরডো পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রটি। যা সেই দেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। এতদিন পর্যন্ত ইজরায়েল ইরানের যে সকল পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাচ্ছিল, সেগুলি প্রত্যেকটিই নয় বহু দিন নিষ্ক্রিয়, আর নয় তো তাতে সেরকম মাত্রায় পারমাণবিক পরীক্ষানিরিক্ষা চলে না।
ফরডো সেই সবের ধার ধারে না। পাহাড়ের নীচে ৩০০ ফুট গভীরে তৈরি হয়েছে এই বিশেষ পরমাণু কেন্দ্র। যার মধ্যে থেকে প্রতি মাসে ১৬৬ কেজি ইউরেনিয়াম উৎপন্ন করে ইরান। যে মুহূর্তে আমেরিকা হামলা চালায় সেখানে,তখন ওই পারমাণবিক কেন্দ্রে কতটা ইউরেনিয়াম সংরক্ষিত ছিল, সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে এই পরিমাণ ইউরেনিয়াম অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূগর্ভের উপরে সর্বক্ষণ মোতায়েন রাখত ইরানের প্রশাসন।
ক্ষমতা নেই ইজরায়েলের?
আমেরিকার দাবি, ইরানের গভীরে লুকিয়ে থাকা শক্তিতে আঘাত আনার ক্ষমতা ইজরায়েলের নেই। সেই কারণেই সংঘাতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে তাদের। তারা আরও জানিয়েছে, ফরডো ধ্বংস করার জন্য যে ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজন, তা একমাত্র আমেরিকার কাছেই রয়েছে। আর রবিবার সেই শক্তিধর ক্ষেপণাস্ত্রকেই ইরানের মাটিতে ছুড়ে দিয়েছে ট্রাম্পের সেনা। ছক কষেছে পেন্টাগন।
কী সেই ক্ষেপণাস্ত্র?
নাম GBU-57 ‘Massive Ordnance Penetrator’ বা সংক্ষেপে বলতে গেলে, বাঙ্কার ব্লাস্টার। সংঘাত শুরুর পর্বে আমেরিকার কাছে এই শক্তিধর ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছিল ইজরায়েল। কিন্তু নেতানিয়াহু প্রশাসনকে কোনও সাড়া দেয়নি আমেরিকা। কারণ, এই বোমাকে বহন করার ক্ষমতা একমাত্র B-2 Stealth Bomber-এর রয়েছে। এই যুদ্ধবিমানের একমাত্র মালিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে এটি শীর্ষে। রবিবার সেই বিমানই পাক খেতে দেখা গেল ইরানের আকাশে। পাহাড় লক্ষ্য করে ফেলে দিল ব্রহ্মাস্ত্র।

