অর্থনীতি হোক বা সামরিক শক্তি, ঝড়ের গতিতে এগিয়ে চলেছে ভারত! সম্প্রতি ওড়িশায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। যা ভারতের সামরিক শক্তিকে বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। আর তার পরেই যেন ঘুম উড়েছে ইসলামাবাদের। সামরিক কৌশলে কী ভাবে ভারতকে টেক্কা দেবে? সেই ভাবনাতেই মশগল পড়শি দেশ। আর তাই খানিকটা বেপরোয়া হয়ে উঠছে পাকিস্তান। যেভাবেই নিজের অস্ত্র ভান্ডার ভরে তুলতে সচেষ্ট শরীফ সরকাররা। সে অন্য দেশের থেকে কিনে হোক, ধার নিয়ে হোক বা দালালি করেই, ভারতকে টেক্কা দিতে মরিয়া পাকিস্তান। কেবল নিজের দেশের নিরাপত্তার কারণেই নয়, বরং ভারতকে সামরিক শক্তিতে টেক্কা দেওয়াটা একটা ‘অহংবোধে’র ব্যপার।
গত সপ্তাহে ভারতের প্রথম দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার পরেই তাই কী হতে চলেছে পাকিস্তানের পরবর্তী পদক্ষেপ, তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা! তবে পাকিস্তানও কী এবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র চাইছে? পাকিস্তানের হাতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এলে তা ভারতের জন্যই বা কতটা চিন্তার?
ভারতের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার পরেই দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে এক অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে বলেও মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। জবাবে, পাকিস্তানও যে ভারতের সামরিক কৌশলের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইবে সেটাই স্বাভাবিক।
যদিও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে অদূর ভবিষ্যতেই পাকিস্তানের পক্ষে নিজস্ব হাইপারসনিক ক্ষমতা বিকাশের সম্ভাবনা কম। কিন্তু এই বিষয়ে পাকিস্থানের জন্য ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে ভারতের আরেক পড়শি দেশ চিন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুসারে দীর্ঘ দিনের বন্ধু চিনের কাছে ডংফেং -১৭ (ডিএফ-১৭) অত্যাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে। এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বেজিং-এর সামরিক অস্ত্রাগারের অন্যতম সম্পদ বটে।
পাকিস্তানের জন্য চিনের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়াটা অনেক বেশি স্বাভাবিক। তবে কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের উত্তর কোরিয়ার মতো অন্য দেশের কাছেও সাহায্য চাইতে পারে পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত পাকিস্তান চিরকাল ভারতের সঙ্গে সামরিক সমতা বজায় রাখা এবং শক্তির প্রদর্শনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তা ছাড়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘হাসিল’ করা কেবল ভারতের মোকাবিলার জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই দক্ষিণ এশিয়ার বিকশিত শক্তি বলয়ে নিজের জায়গা সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রয়োজনীয়।
পাকিস্তান হাইপারসনিক মিসাইল অর্জনে সফল হবে কি না তা অনিশ্চিত। তবে ভারতের সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিঃসন্দেহে উপমহাদেশে সামরিক প্রতিযোগিতার এক তরঙ্গ উন্মোচিত করেছে। তবে এই ক্রমবর্ধমান শক্তি আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখন পাকিস্তানের হাইপারসনিক শক্তিধর হওয়ার আকাঙ্খা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি এবং স্থিতিশীলতার উপর ভবিষ্যতে কী প্রভাব ফেলে সেটাই দেখার!