জেনেভা: ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চিনের (China) উহান মার্কেট থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল এক নতুন ভাইরাস। ২০২০ সালের শুরুতেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার দুই বছর কেটে গেলেও, এখনও খোঁজ মেলেনি করোনার উৎপত্তির (COVID-19 Origin)। পশ্চিমী ক্ষমতাশালী দেশগুলির তরফে বারংবার রাষ্ট্রপুঞ্জের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হল, সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস (Tedros Adhanom Ghebreyesus, করোনার উৎপত্তি নিয়ে আরও ভালভাবে সহযোগিতার জন্য চিনের প্রিমিয়ার লি কেকিউয়াংর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এর আগেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চিনকে করোনার উৎপত্তি নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে চিনের তরফে সেভাবে কোনও উত্তর মেলেনি। শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে গোটা বিশ্বে টিকার সমান বন্টন নিয়ে যে বিশেষ কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে, তার অনুষ্ঠানেই চিনের প্রিমিয়ারের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানানো হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস টুইট করে জানান, “চিনের প্রিমিয়ার লি কেকিউয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। আমরা করোনাভাইরাস ও বিশ্বে ভ্যাকসিনের সমতা নিয়ে আলোচনা করেছি। চলতি বছরের মধ্যেই বিশেবের ৭০ শতাংশ জনগণকে করোনা টিকা দেওয়ার যে শপথ নেওয়া হয়েছে, তা পূরণ করার জন্য যথাযথ প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া বৈজ্ঞানিক ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি খুঁজতে আরও শক্তিশালী সহযোগিতা প্রয়োজন, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গতবছরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি খোঁজার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা দল তৈরি করা হয়। ওই দলের তরফে চিনের কাছে করোনার উৎপত্তি নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করার জন্য তথ্য পাঠাতে বলা হলেও, তারা গোপনীয়তার অজুহাত দিয়ে কোনও তথ্য পাঠাতে অস্বীকার করে।
পশ্চিমী দুনিয়ার দাবি, চিনের উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই করোনা ভাইরাস মাছমাংসের বাজারে ছড়িয়ে পড়েছিল, যা পরে দেশের সীমানা পেরিয়ে গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম থেকেই করোনা ভাইরাসকে “চিনা ভাইরাস” অ্যাখ্যা দিয়ে এসেছেন। তিনি একাধিকবার দাবি করেছিলেন যে, করোনা ভাইরাসকে ইচ্ছাকৃতভাবেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এত লক্ষ কোটি মানুষের যে প্রতিনিয়ত মৃত্য়ু হচ্ছে এই সংক্রমণে, তার জন্য চিনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।
এরপর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও চিনে করোনার উৎপত্তি নিয়ে নতুন করে তদন্তের দাবি জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দরবারে হাজির হয়েছিলেন। পরে তিনি আলাদাভাবেও একটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তবে করোনার শুরুর সময় থেকেই চিন বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে যে, ২০১৯ সালের শেষভাগে উহানের ল্যাব থেকেই করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল।
গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিনের যৌথ একটি গবেষণায় দাবি করা হয় যে, উহানের ল্য়াব থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েনি। বরং কোনও বন্যপ্রাণীর থেকেই স্বাভাবিক অভিযোজনের মাধ্যমে করোনা মানবদেহে প্রবেশ করে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
জেনেভা: ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চিনের (China) উহান মার্কেট থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল এক নতুন ভাইরাস। ২০২০ সালের শুরুতেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার দুই বছর কেটে গেলেও, এখনও খোঁজ মেলেনি করোনার উৎপত্তির (COVID-19 Origin)। পশ্চিমী ক্ষমতাশালী দেশগুলির তরফে বারংবার রাষ্ট্রপুঞ্জের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হল, সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস (Tedros Adhanom Ghebreyesus, করোনার উৎপত্তি নিয়ে আরও ভালভাবে সহযোগিতার জন্য চিনের প্রিমিয়ার লি কেকিউয়াংর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এর আগেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চিনকে করোনার উৎপত্তি নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে চিনের তরফে সেভাবে কোনও উত্তর মেলেনি। শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে গোটা বিশ্বে টিকার সমান বন্টন নিয়ে যে বিশেষ কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে, তার অনুষ্ঠানেই চিনের প্রিমিয়ারের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানানো হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস টুইট করে জানান, “চিনের প্রিমিয়ার লি কেকিউয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। আমরা করোনাভাইরাস ও বিশ্বে ভ্যাকসিনের সমতা নিয়ে আলোচনা করেছি। চলতি বছরের মধ্যেই বিশেবের ৭০ শতাংশ জনগণকে করোনা টিকা দেওয়ার যে শপথ নেওয়া হয়েছে, তা পূরণ করার জন্য যথাযথ প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া বৈজ্ঞানিক ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি খুঁজতে আরও শক্তিশালী সহযোগিতা প্রয়োজন, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গতবছরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি খোঁজার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা দল তৈরি করা হয়। ওই দলের তরফে চিনের কাছে করোনার উৎপত্তি নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করার জন্য তথ্য পাঠাতে বলা হলেও, তারা গোপনীয়তার অজুহাত দিয়ে কোনও তথ্য পাঠাতে অস্বীকার করে।
পশ্চিমী দুনিয়ার দাবি, চিনের উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই করোনা ভাইরাস মাছমাংসের বাজারে ছড়িয়ে পড়েছিল, যা পরে দেশের সীমানা পেরিয়ে গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম থেকেই করোনা ভাইরাসকে “চিনা ভাইরাস” অ্যাখ্যা দিয়ে এসেছেন। তিনি একাধিকবার দাবি করেছিলেন যে, করোনা ভাইরাসকে ইচ্ছাকৃতভাবেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এত লক্ষ কোটি মানুষের যে প্রতিনিয়ত মৃত্য়ু হচ্ছে এই সংক্রমণে, তার জন্য চিনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।
এরপর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও চিনে করোনার উৎপত্তি নিয়ে নতুন করে তদন্তের দাবি জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দরবারে হাজির হয়েছিলেন। পরে তিনি আলাদাভাবেও একটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তবে করোনার শুরুর সময় থেকেই চিন বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে যে, ২০১৯ সালের শেষভাগে উহানের ল্যাব থেকেই করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল।
গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিনের যৌথ একটি গবেষণায় দাবি করা হয় যে, উহানের ল্য়াব থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েনি। বরং কোনও বন্যপ্রাণীর থেকেই স্বাভাবিক অভিযোজনের মাধ্যমে করোনা মানবদেহে প্রবেশ করে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা