জেনেভা : গোটা বিশ্বে ৩০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার পর এবার মাঙ্কিপক্স নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation)। ইতিমধ্যেই মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে ‘গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি’, অর্থাৎ, ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে হু। বিশ্বের ৯২ টি দেশে ৩৫ হাজারের বেশি মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। পাওয়া গিয়েছে মৃত্য়ুর খবরও। করোনার মত মারণ না হলেও এখনও পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ১২ জনের। এই আবহে ক্রমশ বাড়ছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। মাঙ্কিপক্সের এইভাবে ছড়িয়ে পড়ার কারণের তল পেতে শুরু হয়েছে গবেষণাও। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের কোনও জিনগত পরিবর্তন এই রোগের দ্রুত বিস্তারের প্রধান কারণ কি না সেই বিষয়ে গবেষণা চলছে।
এখনও পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের দুটি ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। একটির নামকরণ হয়েছে কঙ্গো বেসিন (মধ্য আফ্রিকান) ও পশ্চিম আফ্রিকান ক্লেড। গত শুক্রবার এই দুই ভ্য়ারিয়েন্টের নামকরণ করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। একটির নামকরণ হয়েছে ক্লেড I অপরটি ক্লেড II এবং জানানো হয়েছে, ক্লেড II এর দুটি সাব ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। একটি IIa ও IIb। এর মধ্যে বর্তমানে IIb-র কারণেই বিশ্বে মাঙ্কিপক্সের এই আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, IIa ও IIb দুই ভ্য়ারিয়েন্টেরই উৎস এক। চরিত্রের দিক থেকে তারা পৃথক তা বলা যায় না।
মিউটেশন নিয়ে গবেষণা :
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে হু জানিয়েছে, ‘জিনোম দেখলে বোঝা যায় বর্তমানে আবির্ভূত ভাইরাস ও পুরনো ক্লেড IIb ভাইরাসগুলির মধ্যে কিছু জেনেটিক পার্থক্য রয়েছে।’ আরও বলা হয়েছে, ‘তবে এই জেনেটিক পরিবর্তনহুলির তাৎপর্য সম্বন্ধে এখনও সেইভাবে কিছু জানা যায়নি। রোগের সংক্রমণ ও তীব্রতার উপর এই মিউটেশনগুলির প্রভাব নিয়ে গবেষণা চলছে।’ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভাইরাসে জিনোটাইপিক পরিবর্তন না কি হোস্টের (মানবদেহ) কারণে সংক্রমণে বৃদ্ধি দেখা তা এখনি নিশ্চিক করে বলার মতো সময় আসেনি।