WHO: আসতে চলেছে আরও এক মহামারি, আশঙ্কাবার্তা WHO-র

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 23, 2022 | 8:10 AM

WHO: করোনার মতো ডিজিজ এক্স রোগটিও ছোঁয়াচে হতে পারে। ফলে মানুষ থেকে অন্য প্রাণীর মধ্যে বা কোনও প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে এবং একটি প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

WHO: আসতে চলেছে আরও এক মহামারি, আশঙ্কাবার্তা WHO-র

Follow Us

জেনেভা: সুইজারল্যান্ড (Switzerland) করোনা অতিমারির (Corona Epidemic) রেশ এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই উঁকি দিচ্ছে আরেক মহামারি (Epidemic)! এমনই আশঙ্কার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। যদিও সেটি ঠিক কী রোগ হবে, সে ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট নন হু-র বিজ্ঞানীরা। তবে সম্ভাব্য এই মহামারিকে ডিজিজ এক্স বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। এই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে হু।

হু সূত্রে খবর, ৩০০-র বেশি গবেষক ইতিমধ্যে ২৫টির বেশি ভাইরাস এবং ব্যাকটিরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন। যার মধ্য থেকে ফের বিশ্বে মহামারি ছড়িয়ে পড়া এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন তাঁরা। অজানা এই রোগকে ডিজিজ এক্স বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা। তাঁদের কথায়, এটি আর্ন্তজাতিক মহামারির একটা গুরুতর কারণ হতে পারে। এটিকে ভাইরাসের তালিকাতেও যুক্ত করেছেন হু বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক ভাইরাসের তালিকায় রয়েছে, কোভিড-১৯, ইবোলা ভাইরাস এবং মারবার্গ ভাইরাস রোগ, লাসা ভাইরাস, মার্স এবং সার্স, নিপা, জাইকা। এর সঙ্গেই এবার যুক্ত হল, ডিজিজ এক্স।  

ডিজিজ এক্স জোনেটিক রোগ হতে পারে বলেই দাবি হু-র গবেষকদের। অর্থাৎ করোনার মতো এই রোগটিও ছোঁয়াচে হতে পারে। ফলে মানুষ থেকে অন্য প্রাণীর মধ্যে বা কোনও প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে এবং একটি প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ না পাওয়া পর্যন্ত এখনই এই রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার করা বা চিকিৎসা করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন হু-র বিশেষজ্ঞরা। ফলে আবার একটি মহামারির মুখে পড়তে পারে বিশ্ব এবং সংক্রমণ রুখতে ফের লকডাউন হতে পারে বিশ্বজুড়ে। আর লকডাউন হলেই যে আরও একবার বিশ্ব অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনে প্রথম করোনা রোগীর দেখা মেলে। যদিও ইবোলা-র মতো এই ভাইরাসও প্রথম পশ্চিমী দুনিয়ার দেশে পাওয়া যায় বলে অনেক গবেষণাপত্রে উল্লিখিত হয়েছে। তবে সূত্রপাত যেখানেই হোক, ২০২০ সালের মার্চের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং মৃত্যুমিছিল শুরু হয়। সংক্রমণ রুখতে বিশ্বজুড়ে দফায়-দফায় লকডাউন হয়। ভারতও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কোভিড মহামারির ধাক্কায় মুখ থুবড়ে পড়ে বিশ্ব অর্থনীতি। তারপর চিকিৎসক-গবেষকদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় ভ্যাকসিন বের করে বর্তমানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও এটি নির্মূল হয়নি। 

Next Article