WHO: ‘করোনাভাইরাস ক্লান্ত নয়’, আবার আসছে ফিরে, বাড়বে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Aug 18, 2022 | 12:50 AM

WHO warns of Covid-19 transmission: আগামী কয়েক মাসে ফের বাড়বে কোভিডের দাপট। বাড়বে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকিও। সতর্ক করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. তেদ্রোস অ্যাধানম ঘেব্রেইসাস।

WHO: করোনাভাইরাস ক্লান্ত নয়, আবার আসছে ফিরে, বাড়বে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসিস। ছবি:PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: এ যেন সেই ‘গেম অব থ্রোনস’ টিভি সিরিজের সংলাপ, “উইন্টার ইজ় কামিং”। প্রায় সেই সুরেই বৃহস্পতিবার একটি কোভিড-১৯ নিয়ে সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’। শীত আসছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আবহাওয়ায় ঘটবে বড় পরিবর্তন। আর সেই সঙ্গে ফের বাড়বে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের দাপট। বাড়বে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকিও। কারণ, আবহাওয়া যত ঠান্ডা হব, তত মানুষ বেশি বেশি করে বাড়ির ভিতরে সময় কাটাবে। আর তাতেই সংক্রমণ তীব্র হবে এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে, এমনই আশঙ্কা ‘হু’-এর।

বুধবার (১৭ অগস্ট) ‘হু’-এর প্রধান ড. তেড্রোস অ্যাধানম ঘেব্রেইসাস কোভিড, মাঙ্কিপক্স এবং অন্যান্য বিষয়ে এক সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে ১৫,০০০ মানুষ রোভিড-১৯’এ প্রাণ হারিয়েছেন। মাত্র চার সপ্তাহের মধ্যেই কোভিড-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর ডিরেক্টর বলেছেন, “আমরা সপ্তাহে ১৫,০০০ মৃত্যু নিয় বাঁচতে পারি না। আমরা হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর সঙ্গে বাঁচতে পারি না। আমরা ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলির অসম বন্টন নিয়ে বেঁচে থাকতে পারব না। যখন আমাদের কাছে সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং জীবন বাঁচানোর সমস্ত সরঞ্জাম আছে, তখন এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।”

‘হু’ প্রধান আরও জানিয়েছেন, আজ যখন আমরা সম্পূর্ণরূপে কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত, তখন সেই সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করে সহজেই ফের কোভিডের দাপাদাপির ঝুঁকি এড়ানো যায়। তিনি বলেন, “আজ আমরা কেউই অসহায় নই। টিকা না নেওয়া থাকলে আপনি টিকা নিন। যদি আপনার বুস্টারের প্রয়োজন হয় তবে সেটি নিন। আপনি যখন দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন না তখন একটি মাস্ক পরুন। ভিড় যথাসম্ভব এড়াতে চেষ্টা করুন, বিশেষ করে কোনও বাড়ির ভিতরে। কোভিডের সঙ্গে বাঁচতে শেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এর অর্থ এই নয় যে, কোভিড নেই বলে আমরা ভান করব। এর মানে হল, আমরা নিজেদের এবং অন্যদেরকে রক্ষা করার জন্য, আমাদের কাছে থাকা সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করব।”

তবে, তাঁর মতে আগামী কয়েক মাসে ভাইরাসটি কীভাবে পরিবর্তিত হতে পারে তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে। তেদ্রোস জানিয়েছেন, বর্তমানে, ওমিক্রনই প্রভাবশালী ভেরিয়েন্ট হিসেবে রয়ে গিয়েছে। গত মাসে সারা বিশ্ব থেকে যে তথ্য ভাগ করে নেওয়া হয়েছে, তার ৯০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে বিএ.৫ (BA.5) সাব-ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। তবে টেস্টিং এবং সিকোয়েন্সিং প্রক্রিয়া সারা বিশ্বেই তীব্রভাবে কমে গিয়েছে। এর ফলে, ভাইরাসটি কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “এই বছরের শুরু থেকে প্রতি সপ্তাহে সিকোয়েন্স ভাগ করার সংখ্যা ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে। আমরা সবাই এই ভাইরাস এবং মহামারি নিয়ে ক্লান্ত। তবে ভাইরাসটি আমাদের নিয়ে ক্লান্ত নয়।”

Next Article