ওয়াশিংটন: আমেরিকার নির্বাচনে লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি। সমীক্ষা অন্তত তাই বলছে। মূল ভোটপর্বের আগে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তফাৎ খুব বেশি নেই। তাই ভোটের ফল প্রকাশের আগে বলা যাচ্ছে না, আমেরিকার মসনদে কার বসার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে ট্রাম্প বা হ্যারিস কেউই পেলেন না সংখ্যাগরিষ্ঠতা? কী হবে তখন?
২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন জো বাইডেন। আর পরবর্তীতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট হন ভারতীয় বংশোদ্ভুত কমলা হ্যারিস। কোনও কোনও প্রদেশে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বেশি, তবে কমলা হ্যারিসের সমর্থকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাই ‘টাই’ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না অনেকে।
আধুনিক আমেরিকায় এমন কোনও নজির না থাকলেও ২০০ বছর আগে ১৮০০ সালের নির্বাচনে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান, তাহলে প্রেসিডেন্ট বাছাই করবে মার্কিন কংগ্রেস। জনপ্রতিনিধিরাই প্রেসিডেন্ট বাছবেন। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট বাছবে সেনেট।
১৮০০ সালের ওই নির্বাচনে থমাস জেফারসন ও জন অ্যাডামসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, সেই সময় আসরে নামতে হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসকে। শেষ পর্যন্ত জেফারসনকে বেছে নেওয়া হয়। সেই সময় কোনও পৃথক নিয়ম ছিল না। পরে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জেরে নতুন নীতি তৈরি করা হয়।
এবার যদি এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট বাছাই হবে ২০২৫-এর ৬ জানুয়ারি।