ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ প্রায় দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এখনও অবধি পুতিন বাহিনীকে ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ইউরোপের এই ছোট্ট দেশের প্রাণপণ লড়াই প্রশংসা কুড়িয়েছে পশ্চিমী বিশ্বের। বিশ্লেষকদের মতে, বেশ কয়েকটি কারণে এখনও রাশিয়াকে আটকে রাখতে পেরেছে ইউক্রেন। প্রস্তুতি, দেশাত্মবোধ এবং রাশিয়ানদের ভুলের কারণে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ আয়ত্তে আনতে পারেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও ভবিষ্যৎ এখনও স্পষ্ট নয়, কারণ রীতিমতো হুমকির সুরে পুতিন জানিয়েছেন, তাঁর o তাঁর লক্ষ্যের মাঝে তিনি কাউকে আসতে দেবেন না। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন গুরুত্বপূর্ণ কারণ গুলির জন্য ইউক্রেন দখল এখনও অসম্পূর্ণ।
প্রস্তুতি
২০১৪ সালের পর থেকে রাশিয়ার দ্বারা ক্রিমিয়া দখলের পর, পশ্চিমী দেশগুলির সাহায্যে ক্রমশ মজবুত হয়েছে ইউক্রেন সেনা। ২০১৬ সালে ন্যাটোর সঙ্গে যৌথভাবে ইউক্রেনে স্পেশাল ফোর্স বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইউক্রেন অনেক আগেই আন্দাজ করেছিল রাশিয়া আক্রমণের মুখে আমেরিকাসহ বন্ধু দেশগুলি যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে পারবেনা। সেই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে তারা প্রস্তুতি নিয়েছে।
স্থানীয় জ্ঞান ও ধ্যান ধারণা
রাশিয়া, ইউক্রেন আক্রমণের পর এখন অবধি রাজধানী দখল করতে পারেনি। অনেকেই মনে করছেন, রাশিয়ান সেনার স্থানীয় জ্ঞান এবং ভৌগলিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারনার অভাব রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে ইউক্রেন সেনা রাশিয়ার থেকে অনেকটাই এগিয়ে। ইউক্রেন সেনার সামাজিক যোগাযোগ, ভূখণ্ড সম্পর্কে ধারণা এবং স্থানীয় ভাষা জানার কারণে রুশ সেনাবাহিনীর থেকে তারা অনেকটা এগিয়ে
দেশাত্মবোধ
রাশিয়ায় বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনের বড় অংশের মানুষের দেশাত্মবোধ কাজ করছে। মানুষ যখন মরিয়া হয়ে ওঠে, তখন তারা যেকোনও প্রতিকূলতাকে জয় করতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোডিমির জেলেনস্কি বারবার করে রুশ সেনাকে রোখার জন্য সাধারণ নাগরিকদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বলেছিলেন। প্রেসিডেন্টের আবেদনে সাড়া দিয়ে অসংখ্য ইউক্রেনবাসী হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বিভিন্ন সময় ছবি সামনে এসেছে সাধারণ ইউক্রেনীয়রা বোতল বোমা দিয়ে রুশ বাহিনীকে সমস্যার মধ্যে ফেলছে।
রণকৌশলগত ভুল
অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম দিকে রাশিয়া রণকৌশলগত অবস্থানে বেশ কিছু ভুল ছিল। মস্কো মনে করেছিল খুব সহজেই তারা ইউক্রেনের দখল হাতে পাবে, সেই কারণে প্রথমদিকে পদাতিক সেনা পাঠিয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছিলেন পুতিন। তবে তার সেই চেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। প্রথমদিকে রুশ বায়ুসেনাকে ব্যবহার করাই হয়নি। এখন ভুল বুঝতে পেরে যৌথভাবে আক্রমণ সংগঠিত করেছে রাশিয়া।