জেনেভা: একের পর এক সংক্রামক রোগের প্রকোপ। করোনাভাইরাস, জিকা ভাইরাসের পর এবার মাঙ্কিপক্স নিয়েও সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা বা পাবলিক হেলথ এমার্জেন্সি ঘোষণা করা হল হল হু-র তরফে। যখন বিশ্বের নানা প্রান্তে কোনও একটি রোগ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেই পরিস্থিতিকে সামাল দিতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা জারি করা হয়।
দুইদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমার্জেন্সি কমিটির বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনা বৈঠকের পরই শনিবার মাঙ্কিপক্সের ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যার প্রেক্ষিতেই আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। তবে এই জরুরি অবস্থা কী, কেনই বা ঘোষণা করা হয়, তা নিয়ে অনেকের কাছেই স্পষ্ট ধারণা নেই।
২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য নিয়মাবলীর অধীনে এই আইনি পরিকাঠামো তৈরি করা হয়, যেখানে দেশের সীমান্ত পার করেও জনস্বাস্থ্য রক্ষার প্রচেষ্টা করা হবে। জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থাকে এক কথায় বোঝানোর জন্য বলা হয়, “এমন এক পরিস্থিতি, যা আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও রোগ ছড়িয়ে পড়ার কারণে সৃষ্টি হয় এবং যা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের সমস্ত দেশের মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজন হয়। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর, অবিশ্বাস্য বা অকল্পনীয় হতে পারে, যার প্রভাব সীমান্ত পার করেও জনস্বাস্থ্যের উপরে পড়ে।”
বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ বাড়তেই ১৬ সদস্যের একটি এমার্জেন্সি কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার তরফে। এই কমিটির প্রধান হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার টিকাকরণ ও রোগ প্রতিরোধ বিভাগের প্রাক্তন কর্তা জিন ম্যারি ওখো ব্যালে। কমিটিতে ভাইরোলজিস্ট, ভ্যাকসিনোলজিস্ট, এপিডেমিওলজিস্ট ও অন্যান্য রোগের বিশেষজ্ঞরাও রয়েছেন। ব্রিটেন, ব্রাজিস জাপান, মরক্কো, নাইজেরিয়া, রাশিয়া, সেনেগাল, সুইজ়ারল্যান্ড, তাইল্যান্ড ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা রয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিসের নেতৃত্বে এমার্জেন্সি কমিটির বৈঠকে মাঙ্কিপক্সের কারণে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি, আন্তর্জাতিক স্তরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মতো বিভিন্ন দিক বিচার করেই জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।