ব্রিটেন: তরুণী বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন মা। গর্ভপাতের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। গর্ভপাতের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়াতেই জন্ম হয়েছিল চার্লি রাউসেউয়ের। কিন্তু জন্ম থেকেই একটি হাত নেই তাঁর। দু’টো পা আছে, কিন্তু তা অর্ধেক। হাত-পা সবেতেই বিশেষ ভাবে সক্ষম তিনি। কিন্তু এই প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও হাল ছাড়েননি তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখতেন। এখন চাকরি করে রোজগার করেন। সেই টাকাতেই ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন দেশ। ইনস্টগ্রামে পোস্ট করেন সেই ছবি। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় তিনি। চার্লি এখন ২৫ বছরের যুবতী। কানাডার একটি ছোট্ট শহরের বাসিন্দা তিনি।
সম্প্রতি ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যম চার্লির সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তখনই চার্লি জানিয়েছেন তাঁর জীবন কাহিনি। সেখানেই চার্লি বলেছেন, “আমার জন্মই হওয়ার কথা ছিল না। পৃথিবীর আলো দেখার আগেই আমি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। প্রতিবন্ধকতা নিয়েই আমি জন্মেছি।” তিনি বলেছেন, “আমার যখন ১৬ বছর বয়স তখন আমি আমার প্রতিবন্ধকতা প্রথম বুঝতে পারি। আমি বিশেষ ভাবে সক্ষমদের স্কুলে পড়াশোনা করিনি। সাধারণ স্কুলেই পড়েছি ছোট থেকে।”
প্রেম করতে গিয়ে বিস্তর সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “আমি যখন ডেটিং শুরু করি, তখন অনেকেই আমার সমস্যা নিয়ে কথা বলত। তবে অনেকে আমার পাশেও দাঁড়িয়েছে। আমাকে চুম্বন করতে সমস্যা হত। প্রেমিককে অনেকটা নীচে ঝুঁকতে হত।”
এ সবের মধ্যেই নীচের জীবন যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। বর্তমানে রেডিয়ো জকি হিসাবে কাজ করেন তিনি। ইতিমধ্যেই মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। সেই ছবিও তিনি আপলোড করেন ইনস্টাগ্রামে। কোভিড অতিমারির জন্য দেড় বছর বন্ধ ছিল ঘুরতে যাওয়া। কোভিডের প্রকোপ কমতেই ফের ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন তিনি।