লন্ডন: সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। শরীরের বিকাশের জন্য পুষ্টির গুরুত্ব অপরিসীম। সে জন্যই শাকসব্জি, ফল, মাছ, মাংস, ডিম খাওয়ার বিষয়ে জোর দেন চিকিৎসকেরা। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তুলতে খাদ্যের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু রোজ কেউ যদি সব্জি, ফল, মাছ, মাংস ছেড়ে কেবলমাত্র জাঙ্ক ফুডে মেতে থাকেন? সম্প্রতি এ রকমই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। ২৩ বছর ধরে শুধুই ওনিয়ন ফ্লেভারের আলুর চিপস, স্যান্ডউইচ ও চিজ ইংল্যান্ডের এক তরুণী। এই তিনটি খাবারের বাইরে আর কোনও খাবার তিনি খাননি। ২ বছর বয়স থেকে শুধু চিপস, স্যান্ডউইচ খেয়েই থাকতেন তিনি। এর পর যা হওয়ার তাই হয়েছে। দিন দিন শরীর এত দুর্বল হয়েছে। অন্য খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি না হওয়ায় চাইলেও খেতে পারতেন না ২৫ বছরের ওই তরুণী। এৎ পর চিকিৎসকের কাছে হিপনোথেরাপি করাতে হয় তাঁকে। সে থেরাপির পর অন্য খাবার খেতে পারছেন তিনি। তার পর বুঝছেন পুষ্টিকর খাবার কেন দরকার শরীরের।
২৫ বছর বয়সী ইংল্যান্ডের ওই তরুণীর নাম জো স্যাডলার। ২ বছর বয়স থেকে শুধু চিপস, স্যান্ডউইচ খেয়েই দিন কাটত তাঁর। রোজ ২ প্যাকেট চিপস খেতেন তিনি। প্রায় ২ দশক ধরে এ রকম চলতে চলতে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। ছোট থেকে কোনও খাবারই খেতে চাইতেন না বলে সে দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন জো। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমার বাবা-মা বলত আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই কোনও খাবার খেতে চাইতাম না। কেবল চিপস খেতাম। সেটাও চুষে চুষে। যতক্ষণ চিপস নরম না হচ্ছে, ততক্ষণ খেতাম না। যখন আমি স্কুলে যেতাম তখনও চিপস ও স্যান্ডউইচ নিয়ে যেতাম টিফিনে। স্যান্ডউইচ আর চিপস দিয়েই সারতাম ডিনার ও লাঞ্চ। আর কোনও কিছু খেতেই ভাল লাগত না আমার। এ জন্য ক্রিসমাসের সময় আমার কাছে বিশেষ ছিল না। কারণ অন্য কোনও খাবার আমি খেতে পারতাম না।”
এ ভাবে দীর্ঘদিন চলার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন চিকিৎসক তাঁকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অভ্যাস না থাকায় তা খেতে পারছিলেন না তিনি। তখন চিকিৎসক হিপনোথেরাপি করানোর সিদ্ধান্ত নেন। ২ ঘণ্টা করে বেশ কয়েক দিন এই থেরাপি চলতে থাকে ওই তরুণীর। তার পর বিভিন্ন ধরনের খাবার তিনি খেতে পারতেন বলে জানিয়েছেন। অন্য খাবারের স্বাদ কত সুন্দর, তাও এখন বুঝতে পারছেন না ২৫ বছরের ওই তরুণী।