জাভা: একসময় তার পরিচয় ছিল বিশ্বের সবথেকে স্থূলকায় কিশোর। কিন্তু গত কয়েক বছরের কঠোর অনুশীলন, তাকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। এখন তাঁকে দেখতে চেনার উপায় নেই। যখন তার বয়স ছিল মাত্র ৯, সেই সময় তার ওজন ছিল ১৯০ কিলোগ্রাম! আর আজ, ১৬ বছর বয়সে এসে ইন্দোনেশিয় কিশোর আর্য পারমানার ওজন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৭ কেজি। কীভাবে ঘটল এই বদল? আর্য জানিয়েছে, একজন সেলিব্রিটি প্রশিক্ষক তার জন্য কঠোর খাদ্যাভ্যাস এবং কঠোর শরীরচর্চার রুটিন নকশা করেছিলেন। আর তার দৌলতেই এই তাক লাগানো বদল এসেছে তার শরীরে। অর্ধেক ওজন কমিয়ে “সুদর্শন” হয়ে উঠেছে সে।
ইন্দোনেশীয় সাংসদ দেদি মুলিয়াদি ২০১৬ সালেই আর্যর সঙ্গে প্রথমবার দেখা করেছিলেন। সেই সময়, নেট দুনিয়ায় আর্যর ওজনের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি, দেদি মুলিয়াদি তার এই অদ্ভূত রূপান্তরের আগের এবং পরের কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন। ওজন কমার আগের ছবিগুলির একটিতে তাকে দেখা যাচ্ছে পশ্চিম জাভার বান্দুং এলাকার হাসান সাদিকিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে। অন্য ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আর্যকে স্নান করানোর জন্য তাকে বাড়ির বাইরে একটি চৌবাচ্চায় নিয়ে গিয়েছেন তার মা।
Endonezya’da dünyanın en şişman çocuğu olarak anılan 12 yaşındaki Arya Permana, 80 kilo birden verdi. Azmiyle büyük takdir toplayan Arya, artık yaşıtlarıyla istediği gibi oyun oynayıp okula gidebiliyor. pic.twitter.com/jDFMH58bbk
— Sıradışı Bilgiler (@siradisibilgini) November 20, 2022
শেষ দুটি ছবিতে আর্যকে রূপান্তরিত চেহারায় দেখা গিয়েছে। ছবির ক্যাপশনে ডেডি লিখেছেন, “২০১৬ সালের ১২ জুলাই, আমি একবার আর্য পারমানাকে দেখতে গিয়েছিলাম। সে তখন বান্দুংয়ের হাসান সাদিকিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। তখন আর্যর ওজন ছিল ৪২০ পাউন্ড। এখন আমি সংবাদ প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আর্যর শরীর সাধারণ শিশুদের মতো স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। ছেলেটিকে চশমা পরে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যে সেও সুদর্শন। সুস্থ থাকো বাবা, তোমার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।”
যে সেলিব্রিটি প্রশিক্ষকের সহায়তায় এই চমৎকার ঘটেছে, তিনি হলেন অ্যাডে রাই। ২০১৬ সালে অ্যাডে প্রথম আর্যর ওজন কমানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি জাকার্তা পোস্টকে জানিয়েছিলেন, আর্যকে কতিনি শুধু সমর্থন করছেন। আর্য খেলাধুলা পছন্দ করে। অত্যন্ত স্থূলকায় হলেও সে ফুটবল খেলা পছন্দ করে। অ্যাডে জানিয়েছিলেন, আর্য যাতে একটি ভাল খাদ্যাভ্যাসে থাকে সেইদিকে নজর রাখবেন তিনি। বর্তমানে, আর্য তার মতো বহু স্থূলকায় শিশু-কিশোরের আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে। তবে শুধু খাদ্যাভ্যাস এবং শরীর চর্চার ফলে আর্যর এই বদল ঘটেনি। এর জন্য তাকে ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি করতে হয়েছে। এর ফলে তার ক্ষিদে কমিয়ে ফেলা গিয়েছে।