ইস্তানবুল: এক যুবতী বিমানে চড়ছেন, তার জন্য উড়ান সংস্থাকে সরিয়ে দিতে হল ইকোনমিক ক্লাসের ছয়টি আসন! আসলে তিনি তো আর পাঁচজন ২৫ বছরের যুবতীর মতো নন, তিনি হলেন ‘বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মহিলা’। জীবনে প্রথমবার তিনি কোনও বিমানে চড়লেন। আর তার জন্যই টার্কি এয়ারলাইন্সকে নিতে হল অভিনব ব্যবস্থা।
তুরস্কের বাসিন্দা, ২৫ বছরের রুমেইসা গেলগির উচ্চতা ৭ ফুট! ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকরস’ তাঁক সবচেয়ে লম্বা মহিলার স্বীকৃতি দিয়েছে। সম্প্রতি, তুরস্কের জাতীয় উড়ান সংস্থার একটি বিমানে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে গিয়েছেন। আর এই ১৩ ঘণ্টার যাত্রার জন্য, টার্কি এয়ারলাইন্স তাঁকে বিমানে জায়গা করে দিতে, ইকোনমিক ক্লাসের ছয়টি আসনকে একটি স্ট্রেচারে পরিণত করেছিল। তাতে শুয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁকে সামনে পেয়ে বহু যাত্রী এবং ক্রু সদস্যকে তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে। শুয়ে শুয়েই তিনি বিমানের সকল পরিষেবা উপভোগ করেছেন।
আসলে, বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মহিলা হলেও, রুমেইসা হাঁটতে পারেন না। সাধারণত তাঁকে হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হয়। কারণ তিনি ‘ওয়েভার সিনড্রোম’ রয়েছে। এটি একটি বিরল জেনেটিক ব্যাধি, যা মানুষের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়। এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রুমেইসা তাঁর এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, “শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই যাত্রা একেবারে নির্ঝন্ঝাট ছিল। এটি ছিল আমার প্রথম বিমান যাত্রা। তবে অবশ্যই এটা শেষ নয়। যারা আমার যাত্রার সঙ্গী ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে আন্তরিক ধন্যবাদ।”
রুমেইসা গেলগি সফ্টওয়্যার শিল্পে কাজ করেন। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে তাঁর কাজ-কারবার। কেরিয়ারকে পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যেতেই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিলেন। সঙ্গে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর কিছু দায়িত্বও আছে। আগামী ছয় মাস তিনি মার্কিন মুলুকেই থাকবেন। রুমেইসা জানিয়েছেন, এর আগে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে তিনি কখনও এতটা উত্তেজিত ছিলেন না।