নয়া দিল্লি: করোনা কালের মধ্যেই আগামী মাসে পেশ হতে চলা বাজেট ২০২২ (Budget 2022) নিয়ে শিল্প জগতের যথেষ্ট আসা রয়েছে। মুশকিল পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে সরকারও এই বাজেটে বেশকিছু ছাড় দিতে পারে। এর মধ্যেই লাগাতার বেড়ে চলা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণকে মাথায় রেখে বিমা কোম্পানিগুলি স্বাস্থ্য বিমা আরও বেশি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সরকারের কাছে এর উপর জিএসটি কম করার দাবি জানিয়েছে।
বাজেটের জন্য সরকারকে দেওয়া পরামর্শে বিমা কোম্পানিগুলির বক্তব্য, স্বাস্থ্য নিয়ে এই সময় অনিশ্চয়তার যুগ চলছে। চিকিৎসা করানোর খরচ নিয়মিত বেড়েই চলেছে। খুচরো মূল্যবৃদ্ধি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ৬ শতাংশ সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য বিমার পরিসীমা অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছে দিতে বিমার কিস্তি কম করা প্রয়োজন।
জিএসটি কমিয়ে ৫ শতাংশ করা প্রয়োজন
বাজাজ অ্যালায়েন্স জেনারেল ইনসিওরেন্সের সিইও এবং এমডি তপন সিঙ্ঘলের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ বিমা করানোর সিদ্ধান্তে কভারেজের তুলনায় কিস্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। কিস্তির খরচ বেশি হওয়ার কারণে মানুষ স্বাস্থ্য বিমা করানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে। এই অবস্থায় সরকারের এই বাজেটে কিস্তি সস্তা করার জন্য এর উপর বসা জিএসটির হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার ভাবনা চিন্তা করা উচিৎ। এতে না শুধু স্বাস্থ্য বিমা করানোর প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে, বরং তারা কম কিস্তিতে বেশি কভারেজের সুবিধাও পাবেন।
এই রাজ্যগুলিতে চালু হোক ইউনিভার্সাল স্বাস্থ্য বিমা স্কিম
তপন সিঙ্ঘলের বক্তব্য, বাজেটে স্বাস্থ্য বিমার উপর জিএসটি কম করার পাশাপাশি সরকারের প্রত্যেকটি রাজ্য আর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ইউনিভার্সাল স্বাস্থ্য বিমা স্কিম চালু করার ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা করা উচিত। এতে শুধু মাত্র হাতে গোনা মানুষেকেই শুধু নয় বরং সমস্ত নাগরিককেই স্বাস্থ্য বিমার কভারেজ দেওয়া হয়। এখন এই স্কিম শুধুমাত্র জম্মু এবং কাশ্মীরেই চালু রয়েছে। সরকারের উচিৎ এর সীমা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া।
বিমার সীমা বাড়ানোর জন্য ঝুঁকি কম করা প্রয়োজন
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রকের এক আধিকারীকের বক্তব্য, দেশে বিমার পণ্যের সীমা বাড়ানোর জন্য ঝুঁকি কম করার প্রয়োজন রয়েছে। এমনটা করা হলে বিমা ক্ষেত্র আর্থিক বৃদ্ধিতে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করতে পারে। আর্থিক পরিষেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সৌরভ মিশ্রা জানিয়েছেন, গত বছর বিমা ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছিল। তিনি বলেন, সরকার আর ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া দুই মিলেই কাজ করছে কীভাবে বিমা পণ্যগুলির সীমা, উদ্ভাবন আর বিতরণকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Budget 2022: বাজেটে করোনা টেস্টিং-ভ্যাকসিন রিসার্চে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি