আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এই বাজেটকে ঘিরে একাধিক মানুষের একাধিক আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। বিশেষ করে পেনশনভোগী এবং সরকারি চাকুরেরা কর ছাড়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। থার্ড ওয়েভ অর্থাৎ যখন নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে তখন এই বাজেট পেশ হতে চলেছে। ফলে দেশের বিভিন্ন শিল্প সংগঠনের দাবি, পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকার আরও বেশি করে যাতে নজর দেয় বাজেটে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকারের কাছে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি শিল্প গোষ্ঠীর। সদস্যদের মতে, দেশ সুস্থ থাকলে দেশের অর্থ ব্যবস্থাও সুস্থ থাকবে।
করোনা মহামারি এবং করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যেভাবে বাড়াচ্ছে সেদিকে তাকিয়ে শিল্প গোষ্ঠীর সরকারের কাছে দাবি, স্বাস্থ্য খাতে দ্রুত ফান্ড বাড়াতে হবে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে যাতে সরকারের নজরদারিও বাড়ে সেদিকে তাকিয়ে বিশেষ ব্যবস্থার দাবি এই শিল্প গোষ্ঠীর। এছাড়াও টেস্টিংয়ের সংখ্যা বাড়ানো, ভ্যাকসিন নিয়ে রিসার্চ বাড়ানো এবং পরিকাঠামো উন্নতি করতে এই বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোটা প্রয়োজন বলে দাবি সংগঠনের।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপকরণের ওপর জিএসটি কমানো প্রয়োজন। এমনটাই দাবি PADCCI-এর অধ্যক্ষ প্রদীপ মুলতানির। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রদীপ মুলতানি জানাচ্ছেন, মহামারির সঙ্গে লড়াই করার জন্যে প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন অক্সিজেন প্লান্ট, কন্সেন্ট্রেটর সহ প্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর জিএসটি পাঁচ শতাংশ রাখতে হবে। অন্তত ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ কমবে বলে মনে করছেন তিনি।
সরকার এখন হেলথ সেক্টরে জিডিপির ১.২৯ শতাংশ খরচ করে থাকে। আর তা ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে ২.৫৩ শতাংশ করার দাবি শিল্প গোষ্ঠীর। REITS-এর মতো বিনিয়োগ স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে সিআইআই। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কাজ করছে এমন সংস্থাকে আরও বেশি করে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন ধরনের মেডিক্যাল ফান্ড বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Budget 2022: বাজারের হাল ধরতে প্রয়োজন বড় পদক্ষেপের, নির্মলার ‘নির্মল’ বাজেটের দিকেই তাকিয়ে দালাল স্ট্রিট
শিল্প গোষ্ঠী অ্যাসোচেম হেলথ বিমা প্রোডাক্টের উপর কর ছাড়ের দাবি জানিয়েছে। এতে একটা বিশাল সংখ্যায় মানুষ বিমার আওতায় আসবে বলে মনে করছে এই সংগঠন।
আরও পড়ুন : Budget 2022: কর্মহীন দেশের ৫০ শতাংশ! নতুন বাজেটে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে সরকার?