Budget 2022: বাজেটে কী চাহিদা ক্ষুদ্র-মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র ক্ষেত্রের?
Budget 2022: কৃষির পরে দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের রুটি-রুজির যোগান দেয় মাঝারি-ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি।
গুজরাতের আহমেদাবাদে একটি ছাপাখানা চালাতেন যতীন শাহ, খুব একটা মন্দ চলছিল না সেই ছাপাখানার ব্যবসা। কিন্তু যখন ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়, তার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পুরো জীবনের গতিপথও পরিবর্তন হয়ে যায়।
কোভিডের কারণে প্রায় সাত মাস ধরে যতীনের ব্যবসা কার্যত বন্ধ হয়ে পড়ে। করোনার প্রথম ঢেউ-এর ধাক্কা সামলে যখন দাঁড়াবার উদ্যোগ যতীন করছিলেন ঠিক সেই সময়ই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে, তার কারণে আরও খানিকটা ভেঙে পড়ে তাঁর ব্যবসা।
কোভিডের আগে, যতীনের সংস্থার বার্ষিক টার্নওভার ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা, যা বর্তমানে ৩ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। অর্থাৎ প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে ব্যবসার পরিমাণ।
কৃষির পরে দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের রুটি-রুজির যোগান দেয় মাঝারি-ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি। আনুমানিক ১১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান যোগায় এই মাধ্যম। দেশের জিডিপিতে ৩০ শতাংশ এবং রফতানিতে ৪৮ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে এই ক্ষেত্রের। এমতাবস্থায় যখন এই ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়, তখন লক্ষ লক্ষ কর্মচারীর জীবিকাও কার্যত কেড়ে নেওয়া হয়।
কিন্তু নিজেদের বাঁচাতে কোন পথে এই ক্ষেত্রের শিল্প সংস্থাগুলি, বাজেটেই বা তাঁরা সরকারের কাছ থেকে কী চায়, এই সব নিয়েই মানি ৯-এর এই প্রতিবেদন। যেখানে যতীনের ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমরা তুলে ধরেছি ক্ষুদ্র-মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র ক্ষেত্রের সমস্যা ও তাঁদের চাহিদা।