নয়া দিল্লি: চারদিন পর নির্মলা সীতারমন অর্থবর্ষ ২০২২-২৩ এর জন্য বাজেট পেশ করবেন। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে বৃদ্ধির গতি সামান্য শ্লথ অবশ্যই হয়েছে, কিন্তু এখনও মোমেন্টম বজায় রয়েছে। আইএমএফ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডায়রেক্টর গীতা গোপীনাথ বলেছেন যে, সরকারের ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার অর্থাৎ খরচ বজায় রাখতে হবে। এতে বেসরকারী বিনিয়োগে গতি আসবে যে কারণে রোজগারের নতুন সুযোগ তৈরি হবে। তিনি বলেন যে, সরকারকে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্টের উপর খরচ বজায় রাখতে হবে, সেই সঙ্গেই অ্যাসেট মানিটাইজেশন প্রোগ্রামে গতি আনতে হবে। আইএমএফ গত ২৫ জানুয়ারি বৃদ্ধির অনুমান কম করেছে। তাদের বক্তবয, চলতি অর্থ বছরে বৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ থাকবে। আগামী অর্থ বছরের জন্য বৃদ্ধির হারের অনুমান করা হয়েছে ৭.১ শতাংশ।
ব্লুমবার্গের সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তায় গোপীনাথ বলেছেন যে সরকারকে অর্থনীতিতে সমান রিকভারির দিকে (যার ফলে সকলের উন্নতি হয়) বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। এর জন্য বাজেটে বিশেষ বন্দোবস্তের প্রয়োজন রয়েছে। বাজেট ২০২২ এ গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য পর্যাপ্ত ফান্ড থাকা উচিৎ। এছাড়াও ফ্রি ফুড স্কিমকে মার্চ ২০২২ এর পরও বজায় রাখা উচিৎ। প্রসঙ্গত, সরকার প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনাকে (PMGKAY) মার্চ ২০২২ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। গোপীনাথ সরকারের কাছে হেলথকেয়ার আর শিক্ষাকে প্রায়োরিটি দেওয়ার আশা করেছে।
ফেডের সিদ্ধান্ত আর অপরিশোধিত তেলে গতি আসায় বাড়ল টেনশন
গোপীনাথ বলেছেন যে মার্কিন ফেডারল রিজার্ভ আগামী দিনে সুদের হার বাড়াবে। এছাড়াও বিশ্ব রাজনীতিতে রুশ আর ইউক্রেনের ঝামেলা নিয়েও টেনশন বেড়েছে। এই রাজনৈতিক সমস্যায় এনার্জির দামে (পেট্রোল ডিজেল) গতি আসবে যা উদীয়মান অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জিং। ফেডরল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইঙ্গিত দিয়েছে য়ে তারা মার্চ ২০২২ এ সুদের হার বাড়াবে। এতে বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাবে। অন্যদিকে অপরিশোধিত তেলের দাম লাগাতার বেড়ে চলেছে। ভারত প্রয়োজনের ৮০ শতাংশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করে। এতে ভারতের আমদানির বিল বাড়বে, রাজস্বের ঘাটতি আরও বাড়বে।
আইএমএই ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে কী বলেছে?
আইএমএফ বিশ্ব আর্থিক পরিদৃশ্যকে জারি করা নিজেদের সাম্প্রতিক অনুমানে বলেছে যে আগামী অর্থবর্ষ ২০২২-২৩ এ ভারতীয় অর্থনীতি ৭.১ শতাংশ হারে বাড়বে। গত অর্থবর্ষ ২০২০-২১ এ ভারতীয় অর্থনীতিতে ৭.৩ শতাংশ কমেছিল। আইএমএফের সাম্প্রতিক অনুমান, চলতি অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের ৯.২ শতাংশ আর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৯.৫ শতাংশের অনুমানের চেয়ে কম। আইএমএফের অনুমান এসঅএন্ডপির ৯.৫ শতাংশ আর মুডিজের ৯.৩ শতাংশের অনুমানের চেয়েও কম। তবে, এটি বিশ্ব ব্যাঙ্কের ৮.৩ শতাংশ আর ফিচের ৮.৪ শতাংশের বৃদ্ধি দরের অনুমানের চেয়ে বেশি।